বুকের হাড় এবং পা না কেটে বাংলাদেশে এই প্রথম বাইপাস সার্জারি করা হলো জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে। বুধবার জাতীয় হৃদরোগ হাসপাতালে ডা. আশ্রাফুল হক সিয়ামের নেতৃত্বে একদল তরুণ চিকিৎসক এই প্রথম বুকের হাড় এবং পা না কেটে বাইপাস সার্জারি করতে সক্ষম হয়েছে। জানা যায়, ঢাকার ধামরাইয়ের আলামিন (৫০) গত ১২ সেপ্টেম্বর  হার্টের দুটি ব্লক নিয়ে জাতীয় হৃদরোগ হাসপাতালে সহকারী অধ্যাপক ডা. আশ্রাফুল হক সিয়ামের অধীনে সার্জারি বিভাগে ভর্তি হন। সাধারণত বাইপাস সার্জারিতে বাইপাস করার জন্য পা কেটে শিরা নেওয়া হয় এবং তা বুক কেটে হার্টে গ্রাফট দেওয়া হয়। কিন্তু এই ক্ষেত্রে বুকের হাড় এবং পা না কেটে গওঈঝ-ঈঅইএ এবং ঊঠঐ পদ্ধতিতে এই কাজটি করা হয়েছে।  ডা. সিয়াম বলেন, গওঈঝ-ঈঅইএ এবং ঊঠঐ দুটি আলাদা আলাদা পদ্ধতি। সাধারণত বাইপাস সার্জারিতে পায়ের গোড়ালি থেকে থাই পর্যন্ত পা কেটে শিরা নিয়ে বাইপাস করা হয়। কিন্তু ঊঠঐ-এর মাধ্যমে পা না কেটে ছোট একটা ছিদ্র করে এন্ডোসকপির মাধ্যমে এই শিরা তোলা হয়। এটা একটি নতুন পদ্ধতি। এর ফলে পায়ের কাটাছেঁড়া কম হয়, ব্যথা কম থাকে, ক্ষতস্থানে দাগ থাকে না, ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে এবং রোগী দ্রুত হাঁটাচলা করতে পারে।

গওঈঝ-ঈঅইএ এর মাধ্যমে বুকের হাড় না কেটে বাইপাস সার্জারি করার ফলে রোগীর হাড় জোড়া লাগার কোনো ব্যাপার থাকে না, রক্তক্ষরণ কম হয়, ব্যথা কম হয়, ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে, আইসিইউ এবং হাসপাতালে থাকার সময় কমে যায়, রোগী দ্রুত সুস্থ হয় এবং খরচও কম হয়। এর আগেওMICS-CABপদ্ধতিতে ডা. সিয়াম এই হাসপাতালে বুকের হাড় না কেটে, কিন্তু পা কেটে বাইপাস সার্জারি করেছেন। এই প্রথম বুক এবং পা না কেটে ছোট ছিদ্রের মাধ্যমে বাইপাস করা হলো। ডা. সিয়াম বলেন, আলামিন সুস্থ আছেন, আজকে স্বাভাবিক খাওয়া-দাওয়া করেছেন, ব্যথাও কম আছে, সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী শনিবার তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর স্পেশাল বরাদ্দের জন্য এই যন্ত্রপাতি ক্রয় করা সম্ভব হয়েছে এবং গরিব রোগীদের সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে।