শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা
অপরাধ আখড়ার হোতাদের চিহ্নিত

অপরাধীদের সঙ্গে বড় ভাইদেরও হদিস নেই

মুহাম্মদ সেলিম, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে গা-ঢাকা দিয়েছে অপরাধ স্পটের হোতারা। ঢাকা, চট্টগ্রামে জুয়া ও অপরাধ স্পটকেন্দ্রিক অভিযান শুরু হওয়ার পর এরই মধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে অপরাধের নানা স্পট। অপরাধ স্পট বন্ধের পাশাপাশি এতদিন যাদের ছত্রছায়ায় অপরাধ স্পটগুলো পরিচালিত হতো সেই রাজনৈতিক বড় ভাইরাও নিরুদ্দেশ। তাদের অনেকে মোবাইল বন্ধ করে গ্রেফতার এড়াতে চলে গেছে আত্মগোপনে।

সিএমপির উপ-কমিশনার (উত্তর) বিজয় বসাক বলেন, ‘অপরাধ চক্রগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার জন্য সিএমপি কমিশনার নির্দেশ দিয়েছেন। নির্দেশের পর সিএমপির প্রত্যেক ইউনিট অপরাধ চক্রগুলোর হোতাদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান শুরু করেছে।’

নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (বন্দর) মোস্তাইন হোসেন বলেন, ‘গোয়েন্দা পুলিশ অপরাধ আখড়াগুলো ধ্বংসের জন্য কাজ করছে। এরই মধ্যে অপরাধ আখড়ার হোতাদের চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের গ্রেফতারের জন্য সর্বাত্মক অভিযান চালানো হচ্ছে।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে সিএমপির কয়েকটি থানার ওসি বলেন, ‘কয়েকদিন আগেও কোনো অপরাধ আখড়ায় অভিযান কিংবা কাউকে গ্রেফতার করলে কথিত বড় ভাইদের ফোন আসত। অনেকে হুমকির সুরেই অভিযান কিংবা গ্রেফতার না করার কথা বলতেন। এখন উল্টো কথিত বড় ভাইদের অনেকের হদিস নেই। তাদের বেশির ভাগই মোবাইল বন্ধ করে আত্মগোপনে চলে গেছে।’

অনুসন্ধানে জানা যায়, চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন অপরাধ চক্রগুলোর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে রাজনৈতিক দলের কথিত বড় ভাইরা। তাদের বেশির ভাগই যুবলীগ ও ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। চট্টগ্রাম নগরীতে রকম ভেদে অপরাধ স্পট রয়েছে হাজারের ওপরে। তার মধ্যে জুয়ার স্পট রয়েছে দুইশতাধিক, মাদক স্পট রয়েছে পাঁচশতাধিক, ছিনতাই স্পট কমপক্ষে ১২০, কথিত গেস্ট হাউস রয়েছে তিনশতাধিক। মোবাইল চুরি, গ্রিল কাটা চুরি, মোটরসাইকেল চুরি চোর চক্র রয়েছে দেড়শতাধিক। এছাড়া চাঁদাবাজির কতগুলো চক্র রয়েছে তার কোনো পরিসংখ্যান নেই পুলিশের হাতে। এসব অপরাধ স্পটগুলোতে অভিযান চালাতে গেলেই কথিত বড় ভাইরা ফোন করে অভিযান করতে বাধা দিত। এমনকি পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগও রয়েছে অসংখ্য।

সর্বশেষ খবর