সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা
রংপুর-৩ উপনির্বাচন

দুর্গ দখলে রাখতে মরিয়া জাপা বিরোধে সুবিধা পাবে বিএনপি

রংপুর প্রতিনিধি

প্রয়াত রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের আসনে উপনির্বাচনে জয় পেতে মরিয়া জাতীয় পার্টি (জাপা)। নির্বাচন ঘিরে দলটির মধ্যে শুরু হয়েছে ব্যাপক তোড়জোড়। রোদ-বৃৃষ্টি উপেক্ষা করে প্রার্থীসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে। দিচ্ছেন নানা উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি। দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে দখলে থাকা এ আসনটিতে শেষ পর্যন্ত জাপার অবস্থা কী হয়- তা দেখতে অপেক্ষায় এলাকাবাসী।

বিগত সময়ের নির্বাচন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে রংপুর বিভাগের ৩৩টি আসনের বেশিরভাগই পেয়েছিল জাপা। সর্বশেষ ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে এ অঞ্চলে জাপার আসন উল্লেখযোগ্য হারে কমে যায়।

নির্বাচনী এলাকার সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পারিবারিক বিরোধ এবং মহাজোটের অন্যতম শরিক আওয়ামী লীগনির্ভর হয়ে ওঠা জাপার সামনে এখন অস্তিত্ব টিকে থাকার লড়াই হয়ে দেখা দিয়েছে।

মূলত, একই পরিবার থেকে আসিফ শাহরিয়ারের প্রার্থী হওয়া ও স্থানীয় জাপার একটি অংশ বিপক্ষে অবস্থান নেওয়া, সেই সঙ্গে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ভোট বর্জনের ঘোষণা জাপা প্রার্থীর জন্য চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি বিএনপি প্রার্থী রিটা রহমান শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রয়াত এরশাদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তিনি ৫৩ হাজার ভোট পেয়েছিলেন। এবারে এরশাদ নেই। এ ছাড়া জাতীয় পার্টির মধ্যে চলমান বিভেদ বিএনপি প্রার্থীর জন্য আশীর্বাদ হিসেবে দেখা দিতে পারে বলে মনে করছেন  বিশ্লেষকরা। জাতীয় পার্টির একাধিক কর্মী-সমর্থক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দলের পক্ষ থেকে যোগ্য প্রার্থীকে মনোনয়ন না দিয়ে অযোগ্যদের মনোনয়ন দেওয়ায় নিজ ঘাঁটিতে শোচনীয় অবস্থা জাপার। এ রকম চলতে থাকলে জাপার ঘাঁটি বলে পরিচিত রংপুরে চিরতরে প্রভাব হারাবে দলটি।

এসব চ্যালেঞ্জ উতরিয়ে উপ-নির্বাচনে জাতীয় পার্টি কতটা সফল হতে পারবে- এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলার সাধারণ সম্পাদক এস এম ফখর-উজ-জামান জাহাঙ্গীর বলেন, জাপায় কোনো বিভেদ নেই। আওয়ামী লীগও জাতীয় পার্টির প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছে। তাদের কার্যক্রম দৃশ্যমান না হলেও মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে সাদ এরশাদের পক্ষেই তারা কাজ করছেন। প্রচার-প্রচারণায় বৈষম্যের অভিযোগ বিএনপি প্রার্থীর : বিএনপি প্রার্থী রিটা রহমান অভিযোগ করেছেন, তার প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে। নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলাসহ হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে। প্রচার-প্রচারণায় সমঅধিকার দেওয়া হচ্ছে না। প্রচারণার শুরু থেকেই তার মাইক বন্ধ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটিয়েছে মহাজোটের প্রার্থীর লোকজন। গতকাল নগরীর বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগকালে এমন অভিযোগ করেন তিনি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মহাজোট প্রার্থী সভামঞ্চ করে নির্বাচনী এলাকায় জনসভা, পথসভা করছেন। একসঙ্গে অধিক মাইক ব্যবহার করছেন। প্রশাসন দেখেও না দেখার ভান করছে। অথচ সোমবার (আজ) আমাদের দলের মহাসচিব নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে রংপুরে আসছেন। তার নির্বাচনী সভার মঞ্চ তৈরিতে আচরণবিধির কথা বলে বাধা দেওয়া হচ্ছে। আমি প্রশাসনের কাছে দাবি করছি নির্বাচনে প্রভাব পড়ে এ ধরনের আচরণ করা থেকে তারা যেন বিরত থাকেন। আমি ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশনে বেশ কয়েকটি অভিযোগ দিয়েছি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর