অবৈধ গ্যাস ও বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে মন্ত্রণালয়কে পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। একই সঙ্গে গ্যাসের সিস্টেম লসের পরিমাণ সহনীয় মাত্রায় কমিয়ে আনতে পেট্রোবাংলার গ্যাস বিপণন কোম্পানিসমূহের সিস্টেম লস সামগ্রিকভাবে না দেখিয়ে আলাদাভাবে দেখানোর জন্য মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি সিস্টেম লসের একটি স্ট্যান্ডার্ন্ড নির্ধারণ করে দেওয়ার সুপারিশ করা হয়। এ ছাড়া সারা দেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিতেরও সুপারিশ করা হয়। সংসদ ভবনে গতকাল অনুষ্ঠিত বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ৭ম বৈঠকে এসব সুপারিশ করা হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি শহীদুজ্জামান সরকার। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, মো. আলী আজগার, নূরুল ইসলাম তালুকদার, আছলাম হোসেন সওদাগর, মোছা. খালেদা খানম, বেগম নার্গিস রহমান বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। সংসদের গণসংযোগ বিভাগ জানায়, বৈঠকে ২০২৩ সালের মধ্যে ৫,০০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহের চ্যালেঞ্জ উত্তরণে গৃহীত পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়। এ সময় কমিটি দেশের সব স্থানে সমপরিমাণ গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করার পাশাপাশি অপশোর গ্যাস আহরণে আরও বেশি কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ ছাড়াও দেশের গ্যাস ও বিদ্যুৎ উৎপাদন বিপণন এবং সিস্টেম লস সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা ও অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য সংসদীয় কমিটির সদস্যদের গ্যাস ও বিদ্যুতের স্থাপনাসমূহ পরিদর্শনের সুপারিশ করা হয়। এ ছাড়া অগভীর ও গভীর সমুদ্রসহ দেশে তেল, গ্যাস, কয়লা ও অন্যান্য খনিজ সম্পদের অনুসন্ধান কার্যক্রম আরও গতিশীল করার পাশাপাশি এসব সম্পদ জনকল্যাণে কাজে লাগানো যায় সেজন্য মন্ত্রণালয়কে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করা হয়। বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন ২৩,০০০ মেগাওয়াটে উন্নীত করা এবং ৯৬% জনগোষ্ঠীকে বিদ্যুৎ সুবিধা প্রদানের পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়। বৈঠকে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
