সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের ছিনতাইকারী চক্র সক্রিয়

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরতে আসা এক দর্শনার্থীকে মারধর করে মোবাইল ছিনতাই করেছে নাহিদ হাসান নামের এক ছাত্রলীগ কর্মী। গত শনিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুলার রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নাহিদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল শাখা ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী। এর আগেও তার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ে একাধিক ছিনতাইয়ে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। সে একজন পেশাদার ছিনতাইকারী বলে জানা গেছে। 

ছিনতাইয়ের সময় সহযোগী হিসেবে নাহিদের সঙ্গে ছিল বিশ্বধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফিরোজ আহমেদ রনি। তার মাধ্যমেই ছিনতাইয়ের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হওয়া গেছে। রনি জানায়, শনিবার রাত ১১টার দিকে সে ও নাহিদ একটি বাইকে করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যায়। সেখানে আবদুল্লাহ নামে এক দর্শনার্থীকে জোরপূর্বক বাইকে তুলে ফুলার রোডে নিয়ে যায়। সেখানে নাহিদ তাকে বেদম প্রহার করে তার মোবাইল ছিনতাই করে পালিয়ে যায়। পরে আবদুল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম (এসএম) হলে তার এক আত্মীয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করলে মুহসীন হলের এক ছাত্রলীগ নেতার মাধ্যমে ফোনটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়। ভুক্তভোগীর বরাত দিয়ে মুহসীন হলের সেই ছাত্রলীগ নেতা বলেন, ‘হাসান দর্শনার্থীকে মারধর করে মোবাইল ফোন ছিনতাই করে নিয়ে চলে আসে।’ ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি হলো ছাত্রলীগের মুহসীন হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আরিফুল ইসলামের বলে জানায় রনি। সে হলের আরেক সহ-সভাপতি সৌরভ হল ছাত্রলীগের বরিশাল গ্রুপ চালায়। উভয়ই ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ের সমর্থক। একাধিক সূত্রে জানা যায়, কয়েক মাস আগে ভিসি চত্বরে এক নারীর ব্যাগ ছিনতাই করেছিল নাহিদ। বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদের নির্জন স্থানে নিয়ে ভুক্তভোগীদের হাতে গাঁজা ধরিয়ে, কখনো জামায়াত-শিবির অপবাদ দিয়ে সর্বস্ব কেড়ে নেয় সে। ছিনতাইয়ের বিষয়ে জানতে নাহিদ হাসানকে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রব্বানী বলেন, ছিনতাইয়ের বিষয়ে আমাদের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর। অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর