চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে সেবা গ্রহণের বিভিন্ন ভবন, ওয়ার্ড এবং রোগ নির্ণয় বিভাগগুলো রোগী বান্ধব নয়। ফলে চট্টগ্রামের সরকারি গুরুত্বপূর্ণ এ হাসপাতালে রোগী সংকট থাকেই। ২৫০ শয্যার হাসপাতালে ১৫০ থেকে ১৭০ এর চেয়ে বেশি রোগী থাকে না। বিপাকে পড়ে সেবা বঞ্চিত হয় রোগীরা। সরেজমিনে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের নিচে প্রবেশ পথেই আছে জরুরি বিভাগ। কিন্তু মেডিসিন, শিশু, গাইনি ওয়ার্ড এবং অপারেশন থিয়েটারের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিভাগগুলো পাহাড়ের ওপরে অবস্থিত। সাধারণত একজন রোগী এমন উচ্চতায় পায়ে হেঁটে ওঠার কোনো সুযোগ নেই। জরুরি বিভাগ থেকে রোগীকে হাসপাতালের অন্তঃবিভাগে ভর্তি করাতে হলে তাকে হেঁটেই ওয়ার্ডে যেতে হবে। দেখা মিলে না হুইল চেয়ারের। ফলে রোগীদের দুর্ভোগের মুখে পড়তে হয়। অন্যদিকে, এ হাসপাতালের এক্স-রে, ইসিজি ও আল্ট্রাসনোগ্রাফি বিভাগও পাহাড়ের ওপরে, তিনটি রোগ নির্ণয় কেন্দ্র তিন জায়গায়। রোগীরা সহজে তা খুঁজেও পায় না। তাছাড়া রক্ত পরীক্ষা বিভাগও পৃথক আরেক ভবনে, প্রশাসনিক ব্লকে। ভুক্তভোগী রোগীদের অভিযোগ, একজন মুমূর্ষু রোগীকে জরুরি বিভাগ থেকে ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়ার মতো কোনো ব্যবস্থাই নেই। রোগীকেই পায়ে হেঁটে ওয়ার্ডে যেতে হয়। এটি কী করে সম্ভব। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. অসীম কুমার নাথ বলেন, ‘এ হাসপাতালের বিভিন্ন ভবনের অবকাঠামোগত অবস্থান রোগী বান্ধব নয়। ফলে রোগীদের অনেক কষ্টের সম্মুখীন হতে হয়। এ ব্যাপারে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি।’
