রংপুর-৩ সদর আসনে রংপুর মেট্রো ও জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপনির্বাচনে মোট ১৭৫ কেন্দ্রের মধ্যে ৪৯টি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। এর মধ্যে মেট্রোপলিটন এলাকার ১২৯ কেন্দ্রের মধ্যে ৪০টি ঝুঁকিপূর্ণ। সদর উপজেলার ৩৭টি কেন্দ্রের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করা হয়েছে ৯টি। এসব কেন্দ্রে মোট বুথের সংখ্যা ১ হাজার ২৩। এদিকে সাধারণ ভোটারদের পাশাপাশি প্রার্থীদের নাগরিক সংলাপের আয়োজক ও নির্বাচনী পর্যবেক্ষকদেরও এই নির্বাচন নিয়ে তেমন আগ্রহ দেখা যায়নি। রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি শামিমা পারভীন ও জেলা পুলিশের ডিআইও-১ শরিফুল ইসলাম বলেন, আমরা ইতিমধ্যে অধিক গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলো চিহ্নিত করেছি। এখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাড়তি নজরদারি থাকবে। স্ট্রাইকিং ফোর্সের সঙ্গে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। মেট্রোপলিটন ও জেলা পুলিশের সমন্বয় করবে নির্বাচন অফিস। ফলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কোনো প্রকার সমস্যা হবে না। আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার জিএম সাহতাব উদ্দিন জানান, ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলো নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক সভায় আলোচনা করেছেন। কোনো অনিয়ম হলে কঠোর হাতে দমন করা হবে বলে তিনি হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করেছেন। এদিকে বিজয়ের লক্ষ্যে তিন প্রার্থী জাপার সাদ এরশাদ, বিএনপির রিটা রহমান ও স্বতন্ত্র আসিফ শাহরিয়ার প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। আগামী ৩ অক্টোবর সকাল ৯টা পর্যন্ত প্রার্থীরা প্রচারণা চালাতে পারবেন।