বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

রেমিট্যান্সে ২ শতাংশ প্রণোদনা দেওয়া শুরু হয়েছে : অর্থমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটের ঘোষণা অনুযায়ী প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের ওপর ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা (নগদ সহায়তা) ইতিমধ্যে দেওয়া শুরু হয়েছে। এটা ১ জুলাই থেকেই কার্যকর। গতকাল সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান। অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানোকে উৎসাহিত করতে এটা করা হয়েছ। ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটেই ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। সিস্টেম ডেভেলপ করার জন্য এটা বাস্তবায়নে আমাদের কিছুটা সময় লেগেছে। তবে এই মুহূর্তে কেউ ব্যাংকে গেলে রেমিট্যান্স পাঠাতে পারবে এবং ২ শতাংশ হারে নগদ সহায়তাও পাবে। আর এটা ১ জুলাই থেকেই কার্যকর দেখানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যারা ইতিমধ্যে এই তিন মাসে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন তারা এখনো না পেলে এই প্রণোদনা পেয়ে যাবেন।’

তিনি বলেন, ‘গত তিন মাসে অর্থাৎ ১ জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যত রেমিট্যান্স বাংলাদেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা, তাদের সে ক্লেমটা রয়েছে। তারাও ২ শতাংশ হারে নগদ সহায়তা পাবেন। এ সিস্টেমটি পুরোপুরি চালু হতে আরও হয়তো দু-একদিন সময় লাগতে পারে। এর পরও সারা বিশ্বে আমাদের রেমিট্যান্স আহরণে যেসব এজেন্সি কাজ করে, এটি কার্যকরের জন্য তাদের আমরা বিষয়টি অবহিত করেছি। তারা যেন এটি বাস্তবায়নে কোনো কালক্ষেপণ না করে সে নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।’

অর্থমন্ত্রী বলেন, ১ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার প্রতি ট্রানজেকশনে কোনো প্রশ্ন করা হবে না, কোনো কাগজ চাওয়া হবে না। ১ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলারের বেশি হলে কাগজপত্র দেখাতে হবে। তবে একজন যদি তিনবার রেমিট্যান্স পাঠান এবং সেটি যদি ১ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলারের মধ্যে থাকে, তাহলে কোনো প্রশ্ন করা হবে না, কোনো কাগজও দেওয়ার প্রয়োজন হবে না।

মুস্তফা কামাল বলেন, ‘এর ফলে গত তিন মাসে ১৫-১৬ শতাংশ রেমেট্যান্স প্রবৃদ্ধি হয়েছে। আগে প্রতিবছর ১৫ থেকে ১৬ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স আসত। এবার সেটি ১৮ থেকে ২০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে বলে আমরা আশা করছি।’

অনমনীয় ঋণে অনুদানের পরিমাণ কমল : একই অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বব্যাংকের বিচারে আমাদের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বেড়েছে। আমরা আগে নি¤œ আয়ের দেশ ছিলাম। সে তালিকা থেকে বেরিয়ে এসেছে। এখন আমরা উঁচু জায়গায় পৌঁছালাম। ফলে আমরা আগে বৈদেশিক অনমনীয় ঋণের ৩৫ শতাংশ অনুদান হিসেবে পেতাম। এখন সেটি ২৫ শতাংশে নেমে যাবে। তবে এ ক্ষেত্রে আমাদের ঋণ নেওয়ার সক্ষমতা বেড়েছে। এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি ঋণ পাবে বাংলাদেশ।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর