বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

২০ লাখ টাকা দাবি করে সেই সাত পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

২০ লাখ টাকা দাবি করে সেই সাত পুলিশ

ব্যবসায়ীর ছেলেকে আটকে রেখে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছিলেন খুলনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের বরখাস্ত হওয়া সেই সাত পুলিশ সদস্য। জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগরের আবদুল্লাহ মোটরসের স্বত্বাধিকরী কামরুল ইসলাম লাভলু এ কথা জানিয়েছেন। তিনি খুলনা রেঞ্জ ডিআইজির কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে এর সত্যতা পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী কামরুল ইসলাম বলেন, ‘শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে আমার ছেলে আবদুল্লাহ আল মামুন (২৫) ও তার বন্ধু ঢাকায় পুলিশে কর্মরত দিপায়নকে বেতাগ্রাম হাইওয়ে এলাকা থেকে ডিবি পুলিশের ওই টিম হ্যান্ডকাফ লাগিয়ে খুলনার জিরো পয়েন্টে নিয়ে আসে।

আমার ছেলের ফোনে ২ লাখ টাকা নিয়ে যেতে বলেন। আমি ১ লাখ টাকা নিয়ে গেলে ওই পুলিশরা বলে ছেলেকে ছাড়াতে হলে ২০ লাখ টাকা দিতে হবে। কিন্তু আমি এত টাকা দিতে রাজি না হলে দরকষাকষির এক পর্যায়ে ১০ লাখ দিতেই হবে বলে জানায়। নইলে আমার ছেলে আবদুল্লাহ আল মামুনকে দুটি পিস্তল ও ১০০ বোতল ফেনসিডিল দিয়ে মিথ্যা মামলায় চালান ও ক্রসফায়ারের হুমকি দেয়। নিরুপায় হয়ে রাতেই নগদ ৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা দিই। পাশাপাশি পরদিন ৬ লাখ টাকা দেওয়ার শর্তে আমার ছেলেকে ছেড়ে দেয়। তবে তার কাছ থেকে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা মূল্যের দুটি মোবাইল সেট রেখে দেওয়া হয়।’

এ ঘটনায় খুলনা রেঞ্জ ডিআইজির কাছে লিখিত অভিযোগ করা হলে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় মঙ্গলবার জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সাত সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। একই ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে জেলা ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফায়েল আহমেদকেও স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে। বরখাস্ত পুলিশ সদস্যরা হলেন এসআই লুৎফর রহমান; এএসআই কে এম হাসানুজ্জামান, শেখ সাইদুর রহমান ও গাজী সাজ্জাদুল ইসলাম; কনস্টেবল মো. কামরুজ্জামান বিশ্বাস, জামিউল হাসান ইমন ও জুয়েল শেখ।

খুলনা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আনিচুর রহমান বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট অভিযোগের বিরুদ্ধে তাদের বরখাস্ত করা হয়েছে। বিষয়টি অফিশিয়ালি তদন্তের জন্য তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটি প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর