বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে স্থবির জাহাঙ্গীরনগর

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

একদিকে উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে সর্বাত্মক ধর্মঘট অন্যদিকে উপাচার্যের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে দাবি করে উপাচার্যপন্থি শতাধিক শিক্ষকের মানববন্ধন। গতকালের এমন পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে স্থবির হয়ে পড়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম। কোনো পক্ষই কাউকে ছাড় না দেওয়ায় আজ দ্বিতীয় দিনও পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি পালন করবে উভয়পক্ষ। উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে আজও সর্বাত্মক ধর্মঘট পালন করবে দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে গড়ে উঠা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’। অন্যদিকে দিনব্যাপী জনসংযোগ কার্যক্রম চালাবে উপাচার্যপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ’।

গতকাল পূর্বঘোষিত সকাল-সন্ধ্যা ধর্মঘটে নতুন ও পুরাতন দুটি প্রশাসনিক ভবনই দিনব্যাপী তালাবন্ধ করে রাখে আন্দোলনকারীরা। ফলে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীই ভিতরে প্রবেশ করতে পারেনি। পাশাপাশি মঙ্গলবার রাত দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুলে বাধা দিয়ে ঢাকাগামী সব বাসের যাতায়াতও আটকে দেয় তারা। ফলে ঢাকায় অবস্থানরত শিক্ষকদের আনতে কোনো বাসই সময়মত ক্যাম্পাস থেকে বের হতে পারেনি।

এদিকে চলমান আন্দোলনকে ষড়যন্ত্রমূলক দাবি করে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে উপাচার্যপন্থি শিক্ষকরা। গতকাল বেলা এগারোটায় শতাধিক শিক্ষকের উপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনের রাস্তায় এ কর্মসূিচ পালন করেন তারা। মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক অজিত কুমার মজুমদার বলেন, ‘আন্দোলন আর চক্রান্ত দুটা দু জিনিস। আন্দোলন হলে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হবে। আলোচনায় না গিয়ে আন্দোলন করলে তা চক্রান্তই বলা যায়।’ বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল মান্নান চৌধুরী বলেন, ‘আন্দোলনকারীদের দাবির প্রেক্ষিতে ‘তদন্ত কমিটি’র জন্য উপাচার্য আলোচনায় বসলেও তারা উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করেছে। এতেই প্রমাণিত হয় এই আন্দোলনের পেছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর