শুক্রবার, ৪ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

পূজায় সহিংসতার আশঙ্কা নেই

-ডিএমপি কমিশনার

নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন দুর্গাপূজায় কোনো ধরনের সহিংস হামলার আশঙ্কা নেই। এ ধরনের কোনো গোয়েন্দা তথ্যও নেই। তবুও সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সম্প্রতি ডিএমপির ৮ থানার ওসি বদলি একটা রুটিন ওয়ার্ক বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম। গতকাল পুরান ঢাকার ঢাকেশ্বরী মন্দিরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, সম্প্রতি ডিএমপির ৮ থানার ওসি বদলি একটা  রুটিন ওয়ার্ক। আমরা মনে করছি- যারা ছিলেন, তাদের চেয়েও বেটার কেউ আছেন। তাদের দায়িত্ব দিলে মানুষ আরও ভালো সেবা পাবে। সেভাবেই আমরা রদবদল করছি। আমি প্রথম দিনই বলেছিলাম, মানুষের সেবা করার মানসিকতা যাদের নেই, তারা ডিএমপিতে থাকতে পারবেন না।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, রাজধানীতে ২৩৩টি পূজাম-প রয়েছে। এ ছাড়া পারিবারিক কিছু ম-প রয়েছে। আমরা ৪টিকে বিশেষ ম-প হিসেবে ধরেছি।

এর মধ্যে- ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির, রামকৃষ্ণ মন্দির, ধানমন্ডি পূজাম-প ও বনানী সার্বজনীন পূজাম-প। এ ৪টি বিশেষ শ্রেণির। এগুলোতে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে। নিরাপত্তার জন্য আর্চওয়ে থেকে শুরু করে সিসিটিভি সবকিছু থাকবে।

এ ছাড়া ঢাকায় ৫টি বড় মন্দির রয়েছে। সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দির, রমনা কালী মন্দির, উত্তরা সার্বজনীন পূজাম-প, বসুন্ধরা সার্বজনীন পূজাম-প ও কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটের একটি পূজাম-প আছে। এগুলোতেও সিসিটিভিসহ পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। এ ছাড়া দুই তারকা চিহ্নিত ৮৬টি পূজাম-প, এক তারকা বিশিষ্ট ৭৭টি এবং সাধারণ শ্রেণির ৬১টি ম-প রয়েছে।

এসব পূজাম-পের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ এবং আয়োজকদের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক থাকবে। ২৩৩টির বাইরেও পারিবারিক যেসব পূজাম-প রয়েছে, তারা চাইলে আমরা নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেব। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমাদের কন্ট্রোল রুমসহ সব জায়গায় আলাদা ফোর্স থাকবে। কোথাও হামলা হলে সেটি মোকাবিলার জন্য যথেষ্ট প্রস্তুতি রয়েছে।

ডিএমপি প্রধান বলেন, পূজায় ইভ টিজিং ও মাদক নিয়ে নাচানাচি বন্ধ এবং সারা শহরে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার জন্য বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যেসব পূজাম-পে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীসহ ভিভিআইপিরা যাবেন সেখানে এখন থেকেই আমাদের সার্ভিলেন্স রয়েছে। প্রতিটি স্থাপনা সুইপিং করা হবে।

এ ছাড়া রুফটপ থেকে শুরু করে পুরো রাস্তায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। একইভাবে বিসর্জনের দিন নির্দিষ্ট রুট ব্যবহার করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রতিমা বিসর্জনস্থলে পৌঁছাবে। সুশৃঙ্খলভাবে বিসর্জন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ খবর