মানুষের অসচেতনতার কারণে এলপিজির ওপর এক ধরনের ভীতি তৈরি হচ্ছে, ঘটছে দুর্ঘটনা। যদিও এর জন্য সিলিন্ডারের কোনো ভূমিকা নেই। আর এলপি গ্যাসকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে হলে অবশ্যই গ্রাহকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে এলপিজি সিলিন্ডার ব্যবহারের রীতি ও সচেতনতা বাড়াতে হবে। আর এ দায়িত্ব নিতে হবে এলপিজি বিতরণকারী কোম্পানিগুলোকেই। এলপিজি সিলিন্ডাররে ব্যবহার নিয়ে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে বক্তারা এসব বলেন। গতকাল   রাজধানীর উত্তরায় বাংলাদেশ পেট্রলিয়াম ইনস্টিটিউট-বিপিআইয়ের উদ্যোগে ‘এলপিজি সিলিন্ডারের সঠিক ব্যবহার ও নিরাপত্তা’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বক্তারা। এতে প্রথমবারের মতো বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে বসুন্ধরা এলপি গ্যাস লি. অংশগ্রহণ করে। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিপিআই পরিচালক মাহবুবা ফারজানা, বিস্ফোরক পরিদফতরের প্রধান বিস্ফোরক পরিদর্শক মো. সামসুল আলম, বসুন্ধরা গ্রুপের সেক্টর-এ-এর মানবসম্পদ প্রধান ক্যাপ্টেন শেখ এহসান রেজা (অব.), বসুন্ধরা গ্রুপের সেক্টর-এ-এর হেড অব বিজনেস ডেভেলপমেন্ট জেড এম আহমেদ প্রিন্স ও বসুন্ধরা এলপি গ্যাস লি.-এর জিএম সেলস জাকারিয়া জালাল। আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম তার বক্তব্যে বলেন, ‘বেসরকারি কোনো প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে এমন উদ্যোগ আমাদের এবারই প্রথম। আমরা চাই বসুন্ধরা এলপি গ্যাস কোম্পানির মতো আরও প্রতিষ্ঠান আমাদের প্রশিক্ষণ কর্মকান্ডে সহযোগিতা ও পরামর্শ দিয়ে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের কাজকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে।’ ক্যাপ্টেন শেখ এহসান রেজা (অব.) বলেন, ‘আমরা প্রশিক্ষণ নিয়ে আমাদের মাঠ পর্যায়ের কর্মীদেরও প্রশিক্ষিত করব; যেন সবাই এলপিজি ব্যবহারে নিজে সচেতন হতে পারেন এবং অন্যদেরও সচেতন করতে পারেন।’ জাকারিয়া জালাল বলেন, ‘এলপিজি দুর্ঘটনা অনুসন্ধানে বিস্ফোরক অধিদফতর যতগুলো প্রতিবেদন তৈরি করেছে তাতে দেখা গেছে এলপিজির কারণে কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। মানুষের অসচেতনতার কারণেই দুর্ঘটনা ঘটেছে।’ তিনি বলেন, ‘বসুন্ধরা এলপি গ্যাস ফ্রি সার্ভিসিং সেবা চালু করেছে গ্রাহকের জন্য। এর মাধ্যমে গ্রাহক অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করে দেশের যে কোনো স্থান থেকে ফ্রি সার্ভিসিং সেবা পাবেন।’