বছরের পর বছর গেছে সম্মেলন হয়নি। এমনকি দীর্ঘ আট বছরেও নিজেদের আওতাধীন সব উপজেলা ও ওয়ার্ড শাখার সম্মেলন করে কমিটি দিতে পারেনি সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ। অবশেষে কেন্দ্রের কঠোর বার্তা পেয়ে গা-ঝাড়া দিয়ে উঠেছেন সিলেট আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল নেতারা। সম্মেলন নিয়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক তোড়জোড়। জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে, মহানগর শাখাও তারিখ নির্ধারণ করতে বৈঠকে বসছে। এ ছাড়া উভয় শাখার আওতাধীন উপজেলা ও ওয়ার্ডগুলোতেও সম্মেলনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রতীক্ষিত সম্মেলন ঘিরে সিলেট আওয়ামী লীগে এখন সাজ সাজ রব। সিলেট আওয়ামী লীগে সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি হয়েছিল ২০০৫ সালে। এরপর ২০১১ সালে সম্মেলন ছাড়াই গঠিত হয় কমিটি। তিন বছর মেয়াদি সে কমিটি ইতিমধ্যে পার করে দিয়েছে আট বছর। এই দীর্ঘ সময়ে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগ নিজেদের আওতাধীন ১৩ উপজেলার মধ্যে মাত্র ৬টিতে আংশিক কমিটি করতে পেরেছে। আর মহানগর আওয়ামী লীগ ২৭ ওয়ার্ডের মধ্যে কমিটি করেছে ২১টিতে। এত সময় পেয়েও সম্মেলন কিংবা কমিটি করতে না পারায় সিলেট আওয়ামী লীগ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ। সম্প্রতি সিলেটে এসে তারা আগামী ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে সব শাখার সম্মেলন করতে কঠোর নির্দেশ দিয়ে যান দায়িত্বশীলদের। এর পরই নড়েচড়ে বসেন সিলেট আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা। জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কার্যনির্বাহী কমিটির জরুরি বৈঠকে বসে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগ। সেখানে ৫ ডিসেম্বর জেলার সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। এ ছাড়া ৭টি উপজেলায় সম্মেলনের তারিখ চূড়ান্ত ও অন্য ৬টিতে কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার সিদ্ধান্তও হয় বৈঠকে। সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের উপদফতর সম্পাদক জগলু চৌধুরী জানান, ৫ ডিসেম্বর জেলার সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলার সম্মেলনের আগে ৩১ অক্টোবর বালাগঞ্জ, ১ নভেম্বর সদর, ৫ নভেম্বর কোম্পানীগঞ্জ, ৭ নভেম্বর বিয়ানীবাজার, ৯ নভেম্বর দক্ষিণ সুরমা, ১০ নভেম্বর কানাইঘাট ও ১৪ নভেম্বর গোলাপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হবে। বাকি ৬ উপজেলায় নভেম্বরের মধ্যে কমিটি পূর্ণাঙ্গ করা হবে। এদিকে, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগও ১০ ডিসেম্বরের মধ্যেই সম্মেলন শেষ করতে চায়। এর আগে চলতি অক্টোবরেই বাকি থাকা ৬টি ওয়ার্ডে সম্মেলন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘অক্টোবরেই আমরা ওয়ার্ডগুলোর সম্মেলন শেষ করব। পূজা শেষেই কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক ডেকে কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলে মহানগরের সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা হবে।’
