থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত অরুনরাং ফতুং হামফ্রেইস বলেছেন, ‘বাংলাদেশ অত্যন্ত সম্ভাবনাময় একটি দেশ। বিগত কয়েক বছরে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। থাইল্যান্ডের সঙ্গে বাংলাদেশের চমৎকার বাণিজ্য সম্পর্ক রয়েছে। বর্তমানে ৩২টি থাই কোম্পানি বাংলাদেশে সরাসরি বিনিয়োগ করছে। এ ছাড়া চট্টগ্রাম ও গাজীপুরে আমাদের কয়েকটি প্রকল্প চলমান রয়েছে। বিমসটেকের আওতায় থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক বৃদ্ধির অপার সম্ভাবনা রয়েছে।’ গতকাল দুপুরে সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় চেম্বার সভাপতি আবু তাহের মো. শোয়েব সভাপতিত্ব করেন। থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, ‘চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের সঙ্গে থাইল্যান্ডের নৌ যোগাযোগ রয়েছে। এই বন্দরকে কাজে লাগিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্যের আরও উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব।’
তিনি কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধিকরণ এবং দুই দেশের মধ্যে পর্যটন খাতের বিকাশে গুরুত্বারোপ করেন। বাংলাদেশিদের জন্য সহজে থাই ভিসা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে ক্যাটাগরি অনুসারে সঠিক কাগজপত্র দিয়ে আবেদন করতে বলেন হামফ্রেইস।
মতবিনিময় সভায় সিলেট চেম্বারের সভাপতি শোয়েব সিলেট অঞ্চলে নির্মিতব্য শ্রীহট্ট ইকোনমিক জোন এবং বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কে বিনিয়োগ করতে থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।সভায় বক্তব্য রাখেন সিলেট চেম্বারের সিনিয়র সহসভাপতি চন্দন সাহা, সহসভাপতি তাহমিন আহমদ, পরিচালক এহতেশামুল হক চৌধুরী, ফালাহ উদ্দিন আলী আহমদ, আলীমুল এহছান চৌধুরী, নজরুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন থাই অ্যাম্বাসির ফার্স্ট সেক্রেটারি কালথিরা কুমপিরোচানা, রাষ্ট্রদূতের একান্ত সচিব ওয়ারাছান বিনতে ইছরাইল প্রমুখ।