সিলেট মহানগরীর ছয়টি থানা এলাকায় বসবাসকারী ভাড়াটিয়াদের তথ্য সংগ্রহ করছে পুলিশ। এসব তথ্য নিয়ে করা হচ্ছে ডাটাবেজ। মূলত নগরীতে কোথাও জঙ্গি সংগঠনের কোনো সদস্য কিংবা কোনো অপরাধী আবাস গড়ছে কিনা, এ বিষয়ে দৃষ্টি রেখেই তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।
সিলেট সিটি করপোরেশনের ২৭টি ওয়ার্ড সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) আওতাধীন। এর বাইরে সদর উপজেলা ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলার কিছু অংশও রয়েছে। এসএমপি মহানগরীকে ছয়টি থানায় ভাগ করে কাজ করছে। এসএমপি সূত্র জানায়, কোন বাসায় নতুন কোন ভাড়াটিয়া উঠছে, কারা বাসা ছেড়ে যাচ্ছে, এসব বিষয়ে তথ্য থাকলে সন্দেহভাজনদের ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া সহজ হবে। এ ছাড়া পরিচয় লুকিয়ে কোনো ভাড়াটিয়া বাসায় উঠছে কিনা, তাও যাচাই করা যাবে। কেননা ভাড়াটিয়াদের তথ্য সংগ্রহ কাজে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর ও ফটোকপি নেওয়া হচ্ছে। জানা গেছে, নগরীতে তথ্য সংগ্রহের কাজ বেশ জোরেশোরে শুরু করেছে পুলিশ। তথ্য সংগ্রহের কাজে প্রত্যেক থানায় একজন এসআই পদমর্যাদার পুলিশ সদস্যকে নিয়োজিত করা হয়েছে। প্রত্যেক ভাড়াটিয়ার ছবি ও জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করা হচ্ছে। সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার জেদান আল মুসা বলেন, ‘ভাড়াটিয়াদের তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে। নগরীর ছয়টি থানায় ভাড়াটিয়াদের তথ্য কম্পিউটারে একটি বিশেষ সফটওয়্যারে জমা রেখে ডাটাবেজ করা হচ্ছে। জঙ্গিরা যাতে নগরীতে আবাস গড়তে না পারে এবং অপরাধ দমনের বিষয়টি সামনে রেখেই এ কাজ করা হচ্ছে।’
