মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

এবার হালদার পোনায় মা মাছে ভরবে হালদা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

উপমহাদেশের অন্যতম প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদায় অতীতে স্থানীয় হ্যাচারি থেকে কার্প জাতীয় মাছ কিনে ছাড়া হতো। ফলে এসব মাছ থেকে আশানুরূপ ফল পাওয়া যেত না। প্রথমবারের মতো এবার হালদা নদীর রেণু প্রক্রিয়া করে সেখানে ফেলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসন এ উদ্যোগে আজ দুপুরে হালদার গড়দুয়ারা অংশে মাছ অবমুক্ত করা হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিকেজি রেণু থেকে প্রায় দুই লাখ পোনা হয়। এর মধ্যে ৬০ ভাগ রেণু নানাভাবে নষ্ট হয়। বাকি ৪০ শতাংশ  রেণু থেকে প্রায় এক লাখ পোনা পাওয়া যায়। জানা যায়, ‘হালদায় মাছের পরিমাণ সমৃদ্ধ করতে প্রথমবারের মতো হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীর কার্প জাতীয় মা মাছের মজুদ বাড়ানোর জন্য পোনা অবমুক্তকরণ’ শীর্ষক প্রকল্প গ্রহণ করে। গত ২৫ মে হালদা নদীতে মা মাছ ডিম ছাড়ে। এরপর স্থানীয়রা সেই ডিম সংগ্রহ করে হ্যাচারি অথবা মাটির কুয়ায় রেণু উৎপাদন করেছে। সেখান থেকে এক কেজি রেণু কিনে গত জুন মাস থেকে গড়দুয়ারা ইউনিয়নের একটি পুকুরে নিবিড় পরিচর্যা করা হয়। বর্তমানে মাছগুলো ৬ ইঞ্চি বা তার বেশি আকার ধারণ করায় আজ আনুষ্ঠানিকভাবে হালদা নদীতে অবমুক্ত করা হচ্ছে। হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ রুহুল আমীন বলেন, আজ থেকে পর্যায়ক্রমে হালদার বিভিন্ন অংশে পোনা ছাড়া হবে।

 বিশেষজ্ঞদের মতে, হালদা নদীর পোনা যথেষ্ট মানসম্পন্ন। হালদা নদীর পোনা হালদাতে অবমুক্ত করে মা মাছের পরিমাণ বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছি। হালদায় উন্নতমানের মা মাছের পরিমাণ বাড়লে ডিমের পরিমাণও বৃদ্ধি পাবে। যা দেশের মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় হালদা রিভার রিচার্স ল্যাবরেটরির সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. মনজুরুল কিবরিয়া বলেন, এবার হালদার পোনা হালদায় ছাড়া হলে মাছের উৎপাদন বাড়বে।

সর্বশেষ খবর