বুধবার, ৯ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

চট্টগ্রামে বাড়ছে চর্মরোগী

সচেতনতা নিয়ে আশাবাদ চিকিৎসকদের

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে বাড়ছে চর্ম রোগীর সংখ্যা। ১৪ ধরনের চর্ম রোগ নিয়ে প্রতিদিনই বিভিন্ন হাসপাতালে ভিড় করছেন রোগীরা। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপতালের চর্ম ও যৌন রোগ বিভাগের গত তিন বছরের রোগীর পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করে এ তথ্য জানা যায়। বর্তমানে হাসপাতালের অন্তঃবিভাগে ২০টি শয্যায় চর্মরোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হয়। তাছাড়া প্রতিদিন বহির্বিভাগে গড়ে ৬০০ থেকে ৭০০ রোগী সেবা নেন। হাসপাতালের চর্ম রোগ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত এ বিভাগে এক লাখ ১৮ হাজার ১৪৮ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। আর ২০১৭ সালে ৮৩ হাজার ২৮০ এবং ২০১৬ সালে ছিল ৭৮ হাজার ৯৬০ জন রোগী। আগত রোগীদের মধ্যে ঘা পাঁচড়াজনিত চর্ম রোগ, ছত্রাকজনিত সংক্রমণ (ফাংগাল ইনফেকশন), একজিমা, ব্যাক্টেরিয়া ঘটিত (জীবাণুজনিত) চর্মরোগ, ব্রণ, ভাইরাসজনিত ব্যাধি, প্যাপিউলো স্কোয়ামাস ডিজিজ, কানেক্টিভ টিস্যু ডিজিজ (যোজক কলা ব্যাধি), ব্যুলাস ডিজিজ,

 শ্বেতী রোগ, দীর্ঘস্থায়ী আর্সেনিক সমস্যা, কুষ্ট রোগসহ ১৪ ধরনের চর্ম রোগের চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে আসেন। চমেক হাসপাতালের চর্ম ও যৌন রোগ বিভাগে প্রধান ডা. রফিকুল মাওলা বলেন, ‘জনসংখ্যা বাড়ার সঙ্গে রোগ বাড়ছে, রোগীও বাড়ছে। সঙ্গে মানুষের মধ্যে রোগ নিয়ে যথেষ্ট সচেতনতা তৈরি হয়েছে। আগে মানুষ চর্ম রোগ গুরুতর পর্যায়ে না যাওয়া পর্যন্ত হাসপাতালে আসতেন না। সামান্য ফোঁড়া উঠলেও হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসছেন। এটি ভাল লক্ষণ। কারণ ছোট একটি ফোঁড়া একদিন বড় আকারে ধারণ করতে পারে। প্রথম অবস্থায় এর কারণ চিহ্নিত করা গেলে চিকিৎসা সহজ এবং যথাযথ হয়।’

তিনি বলেন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা, পরিচ্ছন্ন কাপড় পরিধান, ভেজা কাপড় পরিধান না করা, খাবার নিয়ে সচেতন থাকা, একই পোশাক বেশি সময় ধরে না পরিধান করলে চর্ম রোগ থেকে মুক্ত থাকা যায়।’  হাসপাতালের চর্ম ও যৌন রোগ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের  জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত এ বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হয় এক লাখ ১৮ হাজার ১৪৮ জন রোগীকে। এর মধ্যে পুরুষ ৫০ হাজার ৯৯৮, মহিলা ৪৫ হাজার ৭৩১ ও শিশু ২১ হাজার ৪১৯ জন । ২০১৭ সালে সেবা দেওয়া হয় ৮৩ হাজার ২৮০ জনকে। এর মধ্যে পুরুষ ৩৮ হাজার ৮৫৪, মহিলা ৩৪ হাজার ২৫৯এবং শিশু ১০ হাজার ১৬৭ জন। ২০১৬ সালে সেবা দেওয়া হয় ৭৮ হাজার ৯৬০ জনকে। এর মধ্যে পুরুষ ৩৬ হাজার ৯৯৬, মহিলা ৩২ হাজার ৬৮৭ ও শিশু রোগী ৯ হাজার ২৭৭ জন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর