শুক্রবার, ১১ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

মাদকের রমরমা বাণিজ্য উৎসের খোঁজে প্রশাসন

খুলনায় মদ খেয়ে একের পর এক মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

খুলনায় দেশি-বিদেশি মদ, ইয়াবা, গাঁজাসহ মাদকের রমরমা বাণিজ্য চলছে। প্রকাশ্যে যেখানে সেখানে বিক্রি হয় মাদকদ্রব্য। এতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে খুব সহজেই মদসহ মাদকদ্রব্য পৌঁছে যায়। এদিকে খুলনায় অতিরিক্ত মদ সেবনে নারীসহ আটজনের মৃত্যুর পর অবৈধ মদের উৎসের খোঁজে মাঠে নেমেছে প্রশাসন। এরই মধ্যে সেবনকৃত মদের বোতল, ঘুমের ওষুধ ও নেশার কাজে ব্যবহৃত মিথানল নামের এক ধরনের ‘উড বার্নিশ’ জব্দের কথা জানিয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর। জানা যায়, খুলনায় দেশি মদ বিক্রির লাইসেন্সপ্রাপ্ত দোকান রয়েছে চারটি। এ ছাড়া খুলনার ফুলতলা ও চালনায় একটি করে মদ বিক্রির দোকান রয়েছে। নগরীর ফেরিঘাটে একটি বিদেশি মদের দোকান এবং খুলনা ক্লাব ও হোটেল ক্যাসল সালামে দুটি বিদেশি মদ বিক্রির বার রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, সংশ্লিষ্ট দফতরের নজরদারির অভাবে বৈধ দোকানের বাইরে প্রতিটি উৎসবের সময় কয়েক কোটি টাকার বিদেশি মদ মজুদ করেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। এসব অবৈধ মদের দোকানের নিয়ন্ত্রণকারীদের খুঁজে বের করার দাবি জানিয়েছে সচেতন মহল। এদিকে বুধবার দুপুর পর্যন্ত অতিরিক্ত মদ সেবনে পাঁচজনের মৃত্যুর পর বিকালে আরও তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া নগরীর শেখপাড়া হাজী ইসমাইল রোডে মদ সেবনের পর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন আরেক যুবক।

সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক জানিয়েছেন, বেশি নেশাগ্রস্ত হওয়ার জন্য কেরু নামক মদের সঙ্গে আরও কিছু নেশাজাতীয় দ্রব্য মেশানো হয়েছে, যা বিষক্রিয়ায় তৈরি হয়ে এ মৃত্যু ঘটিয়েছে। তবে ভারতীয় মদের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ ও মিথানল মিশিয়ে সেবনের কারণে মৃত্যু হতে পারে বলে অনেকে ধারণা করছেন।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের উপপরিচালক মো. রাশেদুজ্জামান বলেন, দেশি মদে মৃত্যু তেমন ঘটে না। ভারতের বিষাক্ত মদ খেয়ে এ ধরনের মৃত্যু হতে পারে। এ বিষয়ে মদের উৎসের সন্ধানে অভিযান শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে মদের বোতল, ঘুমের ওষুধ ও নেশার কাজে ব্যবহৃত মিথানল নামের এক ধরনের ‘উড বার্নিশ’ আলামত হিসেবে সংগ্রহ করা হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর