শুক্রবার, ১১ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা
জেহাদ দিবসের অনুষ্ঠান

সাবেক ছাত্রনেতাদের অনেকেই যাননি

নিজস্ব প্রতিবেদক

শহীদ জেহাদ দিবসের আলোচনা সভায় যোগ দেননি ’৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে সাবেক ছাত্রনেতাদের একটি অংশ। ওই সময় স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূঁমিকায় থাকা যুবনেতারাও এই অনুষ্ঠানে যোগ দেননি। ‘শহীদ জেহাদ দিবস’ উপলক্ষে গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করে ‘শহীদ জেহাদ স্মৃতি পরিষদ’। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন আমান উল্লাহ আমান। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন নাজিম উদ্দিন আলম। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। অনুষ্ঠানে নেতা-কর্মীদের উপস্থিতি ছিল কম।

তবে শহীদ জেহাদ দিবসের আলোচনায় যোগ দেননি ’৯০-এর সাবেক ছাত্রনেতা ড. আসাদুজ্জামান রিপন, অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী, ফজলুল হক মিলন, হাবিব-উন-নবী সোহেল, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, কামরুজ্জামান রতন, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, শফিউল বারী বাবু, আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল প্রমুখ। এ ছাড়া ওই সময় যুব নেতা হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও বরকতউল্লা বুলু। তারাও শহীদ জেহাদ দিবসের আলোচনায় অংশ নেননি।

জানা যায়, বিএনপির পক্ষ থেকে শহীদ জেহাদ স্মৃতি পরিষদের দেখভাল করছেন দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক ছাত্রনেতা আমান উল্লাহ আমান ও নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম। কিন্তু শহীদ জেহাদ স্মৃতি পরিষদের ‘নামকাওয়াস্তে’ কর্মসূচি পালনের কারণেই সাবেক ছাত্রনেতাদের একটি বড় অংশই এতে যোগদান করেননি বলে জানা গেছে।

এ প্রসঙ্গে সাবেক ছাত্রনেতা ফজলুল হক মিলন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, জেহাদ এমন একটি নাম যার সঙ্গে স্বৈরাচার পতন ও গণতন্ত্রের মুক্তির বিষয়টি ইতিহাসে লিপিবদ্ধ। শহীদ জেহাদের লাশকে ঘিরেই ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে ওঠে।

স্বৈরাচার এরশাদের পতন হয়। গণতন্ত্র মুক্তি পায়। সেই গণতন্ত্রের ওপর ভিত্তি করেই বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি সরকার গঠন করে। সেটাকে আমাদের সবারই উপলব্ধি করা উচিত। তবে আমি ব্যক্তিগত কারণে শহীদ জেহাদ স্মৃতি পরিষদের অনুষ্ঠানে যোগ দেইনি।

সাবেক ছাত্রনেতা কামরুজ্জামান রতন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, গণতন্ত্রের লড়াইয়ে শহীদ হয়েছেন জেহাদ। তার লাশকে সামনে রেখেই সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যপরিষদ গঠন হয়। বর্তমানে ক্ষমতাসীন সরকার স্বৈরাচারী কায়দায় দেশ পরিচালনা করছে। সেক্ষেত্রে আমরা সাবেক ছাত্রনেতারা শহীদ জেহাদ দিবস উপলক্ষে একটি কার্যকর প্লাটফর্ম গড়ে তুলতে ব্যর্থ হয়েছি। নিছক নামকাওয়াস্তে জেহাদের স্মৃতিচারণ করে কোনো লাভ নেই।

সাবেক ছাত্রনেতা সুলতান সালাউদ্দিন টুকু জানান, ব্যক্তিগত ঝামেলায় যাওয়া হয়নি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর