বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট)-এর নিহত ছাত্র আবরার ফাহাদের ছোট ভাই আবরার ফারাজ তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঢাকা কলেজে আসতে ভয় পাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ফারাজ ঢাকা কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। আর এই অভিযোগটি সত্য হলে তাকে সরকার নিরাপত্তা দিতে প্রস্তুত। ফাহাদের ভাই নিরাপত্তা চাইলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তার নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে। গতকাল রাজধানীর শিশু একাডেমিতে শিশু অধিকার সপ্তাহ ও শিশু অধিকার সনদের ৩০ বছরপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক সংলাপে এসব কথা বলেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। যৌথভাবে এই সংলাপটির আয়োজন করে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি ও সেভ দ্য চিলড্রেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, ক্যাস্পাসে র্যাগিং অপরাধ। এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে প্রতিবাদ আসতে হবে, অভিযোগ করতে হবে। আমাদের সময়ও এ ধরনের র্যাগিং হতো। যারা একটু শক্তিশালী ছিল, যারা প্রতিবাদ করত তাদের র্যাগ দেওয়া হতো না। নিরীহরা প্রতিবাদ না করলে তাদের র্যাগ দেওয়া হতো। তবে প্রতিবাদ করলে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবে। ব্যবস্থা না নিলে আমরা সেসব প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।
তিনি বলেন, ফাহাদের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। এ হত্যাকাে র সঙ্গে জড়িত কেউ মাফ পাবে না। আমরা চেষ্টা করছি এ ধরনের সব ঘটনায় মামলাগুলোর বিচার দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ করতে। ইতিমধ্যে মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত হত্যার বিচার শেষ, এখন এই মামলাটি রায়ের অপেক্ষায় আছে। আগামী ২৪ অক্টোবর নুসরাত হত্যা মামলার রায় হবে। শিশু রাজন হত্যার বিচার হয়েছে। ফাহাদ হত্যা মামলাটিও সর্বোচ্চ গুরুত্ব পাবে। তিনি আরও বলেন, ফাহাদের ভাই যদি ঢাকা কলেজে পড়তে অনিরাপদ মনে করেন তাহলে আমরা তাকে নিরাপত্তা দিতে প্রস্তুত। তাকে সব ধরনের নিরাপত্তা দিতে সবসময় তার পাশে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কামরুন নাহার এবং সেভ দ্য চিলড্রেনের পরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন।
