সোমবার, ১৪ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা
সংবাদ সম্মেলনে আকুতি

ছেলের প্রাণ ভিক্ষা চেয়েছেন সম্রাটের মা

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুতি জানিয়েছেন তার মা সায়েরা খাতুন। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সম্রাট ওপেন হার্ট সার্জারির রোগী। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ। আপনি তাকে মুক্তি দিন। তার জীবন ভিক্ষা দিন। ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের পরিবারের পক্ষ থেকে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সম্রাটের মা ওপেন হার্ট সাজারির রোগী হওয়ায় মাত্র এক মিনিট বক্তব্য দেন। 

সম্রাটের মা সায়েরা খাতুনের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সম্রাটের বোন ফারহানা চৌধুরী শিরিন। এ সময় সম্রাটের ছোট ভাই রাসেল আহমেদ চৌধুরী সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। মায়ের পক্ষে লিখিত বক্তব্যে ফারহানা চৌধুরী শিরিন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুতি জানাতে চাই, সম্রাট আপনার সংগঠনে অনুপ্রবেশকারী নয়। আমি একজন মা হিসেবে আপনার কাছে আকুতি করছি, সম্রাটের ভুলত্রুটি ক্ষমা করে ওকে মুক্ত করে দিন এবং তাকে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করে আমার সন্তানের জীবন রক্ষা করুন। পরিশেষে বলতে চাই, সম্রাট জাতির পিতার আদর্শের সৈনিক, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার তৃণমূলের পরীক্ষিত কর্মী। সম্রাটের  নিঃশর্ত মুক্তি দিন। সম্রাটের অফিসে ইয়াবা ও অস্ত্র পাওয়ার ঘটনা পরিকল্পিত ও সাজানো বলে দাবি বলে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সম্রাটের বাইপাস সার্জারি করে ভাল্ব প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক মদ্য পান তার জন্য মৃত্যুর কারণ হতে পারে।

তাই সে যেনেশুনে কখনো মদ পান করবে না। সম্রাট গ্রেফতারের ১০ দিন আগ থেকে অফিসেই ছিল না, অফিস ছিল অরক্ষিত। শরীর খারাপ থাকায় অন্যত্র অবস্থান করছিল। তার অফিসে মদ, ইয়াবা, পিস্তল কিছুই ছিল না। আমাদের আশঙ্কা এটি পরিকল্পিত সাজানো নাটক ছাড়া কিছুই নয়। লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, ঢাকা শহরে প্রতিটি ক্লাব পরিচালনা করার জন্য কমিটি রয়েছে। খেলাধুলা পরিচালনা করার জন্য এসব ক্লাব থেকে নিপুণ খেলা পরিচালনার জন্য ক্লাব কর্তৃক প্রকাশ্যে ডাক দেওয়া হয়। আমার সন্তান সম্রাট কোনো ক্লাবের পরিচালনা কমিটির সদস্য নয় এবং ডাক গ্রহণকারীও নয়। শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে এবং ব্যক্তিগত আক্রোশে তাকে ষড়যন্ত্রমূলক জড়ানো হচ্ছে। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে যে মামলায় তাকে ছয় মাসের সাজা দেওয়া হয়েছে সে মামলার আদেশ আমরা এখনো পাইনি। ক্যাঙ্গারু বাংলাদেশি বন্যপ্রাণী নয় এবং বাংলাদেশে এই প্রাণীটির বিচরণ দেখা যায় না। যেহেতু ক্যাঙ্গারুটি বাংলাদেশে শিকার করা হয়নি এটি বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের মধ্যে পড়ে না। ওই ক্যাঙ্গারুর চামড়াটি এক প্রবাসী বাংলাদেশি তাকে উপহার হিসেবে প্রদান করেন। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত ৬ অক্টোবর সম্রাটকে গ্রেফতার করা হয়। যে স্থান থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় সে স্থানে কোনো ধরনের অস্ত্র কিংবা মাদক পাওয়া যায়নিা। কিন্তু আমরা মিডিয়ার মাধ্যমে দেখতে পেলাম তাকে কাকরাইল অফিসে নিয়ে আসা হয় এবং প্রায় ৪ ঘণ্টা ১৭ মিনিট তার অফিস তল্লাশি করা হয়। তল্লাশি চলাকালীন কোনো গণমাধ্যম কর্মীকে ভিতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর