মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

মোংলা অর্থনৈতিক অঞ্চলে জমি পেল পাঁচ প্রতিষ্ঠান

নিজস্ব প্রতিবেদক

মোংলা অর্থনৈতিক অঞ্চলে জমি পেল পাঁচ প্রতিষ্ঠান

গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে মোংলা ইকোনমিক জোনে জমি বরাদ্দ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ, বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী, পাওয়ারপ্যাক ইকোনমিক জোনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রনো হক শিকদারসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন -বাংলাদেশ প্রতিদিন

দেশের প্রথম সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগের অর্থনৈতিক অঞ্চল মোংলা ইকোনমিক জোনে পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। গতকাল রাজধানীর কারওয়ান বাজারে একটি হোটেলে পাঁচ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ভূমি বরাদ্দ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। অর্থনৈতিক অঞ্চলের সর্বপশ্চিমে ১১ একর জমি বরাদ্দ পেয়েছে নাগা। এ ছাড়া শিকদার গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান পাওয়ারপ্যাক পেট্রোলিয়ামকে ৮ একর, এনার্জিপ্যাককে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ৮ একর, শিকদার গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান পাওয়ারপ্যাক স্টিলকে ২২ একর ও মোটরসাইকেল সংযোজনের জন্য একটি কোম্পানিকে ১৪ একর জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়। এ ছাড়া ন্যাশনাল ব্যাংক ও শিকদার ইন্স্যুরেন্সকে শাখা খোলার জন্য ছোট আকারের প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয় এ অর্থনৈতিক অঞ্চলে। বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এসডিজিবিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ, বেজার নির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ আইয়ুব উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া পাওয়ারপ্যাক ইকোনমিক জোনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রনো হক শিকদার, পাওয়ারপ্যাক পরিচালক মো. সালাউদ্দিন, প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম মোহন, পরিচালক নাইমুজ্জামান মুক্তা প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় পবন চৌধুরী বলেন, ২০১৫ সালে জোর গতি নিয়ে যাত্রার পর পদে পদে বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। শুরুতে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার গুরুত্ব অনেকে বুঝে উঠতে পারেননি। এখন সারা দেশে অন্তত ২৮টি অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণ চলমান আছে। সালমান এফ রহমান বলেন, ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন। মূলত বঙ্গবন্ধুর ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প করপোরেশন বা বিসিক থেকে বিশেষ শিল্পাঞ্চলের ধারণা নেন প্রধানমন্ত্রী। এসডিজিবিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ বলেন, সুন্দরবনের কাছে হওয়ায় এ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কারখানা স্থাপনের ক্ষেত্রে বেশি সতর্ক হতে হবে। বাগেরহাটের মোংলা বন্দরের কাছে ২০৫ একর জমি নিয়ে গঠিত এ অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রথম ধাপেই ৪৪ শতাংশ ভূমি বরাদ্দ দেওয়ার কথা জানিয়েছে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান পাওয়ারপ্যাক ইকোনমিক জোন কর্তৃপক্ষ। পিপিপির মাধ্যমে শিকদার গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান পাওয়ারপ্যাক ইকোনমিক জোন প্রাইভেট লিমিটেড এ অর্থনৈতিক অঞ্চলটির উন্নয়ন করেছে। দেশে পিপিপির মাধ্যমে এটাই প্রথম উদ্যোগ। এখানে ২৫ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে। ইতিমধ্যে সড়ক, সেতু, পানি সরবরাহ, বৈদ্যুতিক উপকেন্দ্র, প্রশাসনিক ভবন নির্মিত হয়েছে। এখানে বিদ্যুৎ কেন্দ্র, আধুনিক সুবিধাসংবলিত অগ্নিনির্বাপক কেন্দ্র, বর্জ্য শোধনাগার, পাশের নদীতে দুটি জেটি নির্মাণ, ট্যাংক টার্মিনাল, শিল্প স্থাপনের সব ধরনের ইউটিলিটি ও সুযোগ-সুবিধা থাকবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর