শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

টেকনাফে পচে-গলে নষ্ট হচ্ছে পিয়াজ

টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

টেকনাফে পচে-গলে নষ্ট হচ্ছে পিয়াজ

মিয়ানমার থেকে আমদানি করা বিপুল পরিমাণ পিয়াজ টেকনাফ স্থলবন্দরে পচেগলে নষ্ট হচ্ছে, কিন্তু এগুলো খালাস করা হচ্ছে না। ওয়াকিবহালরা বলছেন, দেশের বাজারে কৃত্রিম সংকট বহাল রাখতে  এক শ্রেণির ব্যবসায়ীর পরিকল্পনায় এ ঘটনা ঘটছে।

আমদানিকারকরা জানান, গত এক সপ্তাহে তিন হাজার বস্তা পিয়াজ পচে গেছে। এই অবস্থায় মিয়ানমার থেকে গত দুই দিন পিয়াজ আমদানি বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছেন ব্যবসায়ীরা। সূত্র জানায়, টেকনাফ স্থল বন্দরে পচে যাওয়া পিয়াজ খোলা জায়গায় রাখা হয়েছে। সেখান থেকে শ্রমিকরা গতকাল ভালো পিয়াজগুলো সংগ্রহ করে আলাদা করেছেন। এ ছাড়া নাফ নদের তীরে রেখে দেওয়া হয়েছে পচে যাওয়া পিয়াজের সারি সারি বস্তা। আমদানিকারকরা জানান, দুই দিন আগে আমদানিকৃত পিয়াজ ভর্তি সাতটি ট্রলার বন্দরে খালাসের অপেক্ষা রয়েছে। টেকনাফ শুল্ক স্টেশন ও স্থলবন্দর সূত্র জানায়, চলতি মাসের ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত মিয়ানমার থেকে আসা ৮ হাজার ৭০১ টন পিয়াজ খালাস করা হয়েছে। আগস্ট, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসের ১৬ তারিখ পর্যন্ত ১২ হাজার ৩৫৮ মেট্রিক টন মিয়ানমার থেকে পিয়াজ আমদানি করা হয়েছে। এদিকে গতকালও মিয়ানমার থেকে তিনটি পিয়াজের ট্রলার এসেছে। এসব পিয়াজের পরিমাণ ৩৭০ মেট্রিক টন। বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তিন ব্যবসায়ীর ২০৪ মেট্রিক টন পিয়াজ খালাস হয়েছে। বাকিগুলো খালাসের অপেক্ষায় রয়েছে। অভিযোগ অনুযায়ী, এত বিপুল পরিমাণ পিয়াজ আমদানি হলেও স্থানীয় বাজারে পিয়াজের দাম কমছে না। পিয়াজ পচেগলে নষ্ট হওয়া সম্পর্কে টেকনাফ সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ স¤পাদক এহতেশামুল হক বাহাদুর বলেন, গত এক সপ্তাহে খালাসে দেরি হওয়ায় আমদানিকৃত প্রায় তিন হাজার পিয়াজের বস্তা নষ্ট হয়ে গেছে।

এতে ব্যবসায়ীদের লাখ লাখ টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে। নষ্ট হওয়ার জন্য পরিবহন সংকট দায়ী। টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল হাসান বলেন, বন্দর কর্তৃপক্ষের কিছু সমস্যা রয়েছে, সেগুলো দ্রুত সমাধানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেন পিয়াজ নষ্ট হচ্ছে, সে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর