বিদ্যুৎ খাতের চলমান কার্যক্রম এগিয়ে নিতে প্রয়োজন ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর এই অর্থ আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই প্রয়োজন। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এই কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নে যে মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে তার সঙ্গে সমন্বয় করে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত এগিয়ে চলছে। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বৈদেশিক বিনিয়োগকে সরকার উৎসাহিত করছে। গতকাল রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে প্রাকৃতিক গ্যাস বা তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস ভিত্তিক কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন নিয়ে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে সৌদি কোম্পানি একওয়া পাওয়ারের চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। নসরুল হামিদ বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে বিদ্যুৎ খাতের এই চুক্তি দুই দেশের সম্পর্ক উন্নোয়নে কার্যকরি অবদান রাখবে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভিশন বাস্তবায়ন করতে প্রচুর বিদ্যুৎ প্রয়োজন। এই সমঝোতার আলোকে প্রকল্পের সম্ভাব্যতা দ্রুত যাচাই করে নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ সম্পন্ন করতে হবে।
এরই মধ্যে সৌদি কোম্পানি আলফানার সঙ্গে ইলেকট্রিসিটি জেনারেশন কোম্পানি অব বাংলাদেশ এর ফেনী জেলার সোনাগাজীতে জয়েন্ট ভেঞ্চারের মাধ্যমে ১০০ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। সম্ভাব্যতা যাচাইও প্রায় শেষ হয়েছে। জ্বালানি সহযোগিতার জন্য সৌদি কোম্পানি আরামকো’র সঙ্গেও সমঝোতা চুক্তি প্রক্রিয়াধীন।