রবিবার, ২০ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে যৌথভাবে কাজ করার ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে যৌথভাবে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর ও রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি। গতকাল গুলশানের একটি হোটেলে  অধিদফতরের সঙ্গে রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির (গুলশান জোনের) মতবিনিময় সভায় এ ঘোষণা দেওয়া হয়। রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির গুলশান জোনের সভাপতি রেজাউল করিম খানের সভাপতিত্বে ও  ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক সুজন উদ্দিন তালুকদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ভোক্তা অধিদফতরের উপপরিচালক মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার, রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব রেজাউল করিম সরকার রবিন ও সমিতির কেন্দ্রীয় নেতাসহ গুলশান জোনের দুই শতাধিক রেস্তোরাঁ মালিক উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে রেস্তোরাঁ মালিকরা বলেন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মতো আমরাও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে মাঠে আছি। একটি নির্দিষ্ট নীতিমালা তৈরি করা হলে সেই নীতিমালার ভিত্তিতে রেস্তোরাঁগুলোতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা যেতে পারে। তারা বলেন, হাজার সমস্যার মধ্য দিয়ে আমাদের এই ব্যবসা চালাতে হচ্ছে। নিরাপদ খাবার নিশ্চিত করতে প্রশিক্ষিত ব্যক্তিদের দিয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার দাবি জানান তারা। প্রধান আলোচক মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি সঠিক পথে কাজ করলে এবং হেলথ অ্যান্ড হাইজিন নিশ্চিত করলে আমাদের মনিটরিং টিম জরিমানা করবে না। রেস্তোরাঁ মালিকদের পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে হবে। না হলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। মালিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যারা রেস্তোরাঁ ব্যবসা করেন তারা কেউ চোর-ডাকাত নয়। আবার অধিদফতর আপনাদের শত্রু নয়। ভোক্তা অধিদফতর প্রথমবার সংশোধনের সুযোগ দেবে। বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির নেতারা বলেন, বিভিন্ন দফতরের মোবাইল কোর্ট ও মনিটরিংয়ের চাপে ৩০% রেস্তোরাঁ বন্ধ হয়ে গেছে। ৫০% রেস্তোরাঁ হুমকির মুখে। অভিযোগ এবং আইন প্রয়োগের ন্যায্য ব্যবস্থা না থাকায় রেস্তোরাঁ ব্যবসার সম্ভাবনা ভেস্তে যাচ্ছে। এই শিল্পকে বাঁচাতে হলে একটিমাত্র অধিদফতরের আওতায় মনিটরিং পদ্ধতি চালু করতে হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর