জীবনের বাস্তবতা যারা মেনে নিতে না পেরে শর্টকাট পথ খুঁজছে তারাই উগ্রবাদে জড়াচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান (সিটিটিসি) মনিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, জঙ্গিবাদে যারা সংগ্রহকারী, উদ্বুদ্ধকারী তারা ইন্টারনেটে লোভনীয় ও আকর্ষণীয় প্যাকেজ দিচ্ছে। যারা মানসিকভাবে দুর্বল ও যাদের দেশপ্রেম নেই, মানুষের প্রতি দায়িত্ববোধ নেই, মতাদর্শিক ধারণা নেই তারাই উগ্রবাদে জড়িত হচ্ছে। আর ১৫ থেকে ৩০ বছর বয়সী তরুণেরাই উগ্রবাদে জড়াচ্ছে বেশি। গতকাল ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে ‘ঢাকা পিস টক’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠান উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব বলেন মনিরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, এখন জঙ্গি যারা গ্রেফতার হচ্ছে, তারা কেউ কেউ আগে থেকেই জড়িত ছিল, আবার কেউ কেউ নতুন করে র্যাডিকালাইজড হয়ে জঙ্গিবাদে জড়িয়েছে। হলি আর্টিজান হামলার পর জঙ্গিবাদবিরোধী কাজ বেশি হচ্ছে, যা আগে খুব একটা ছিল না। আমাদের এটা আরও বাড়াতে হবে। আমাদের একটি জঙ্গিবাদবিরোধী অ্যান্টিবডি তৈরির কাজ করতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সহিংস উগ্রবাদ বা এর ঘনীভূত রূপ সন্ত্রাসবাদ দমনের মতো একটি দীর্ঘমেয়াদি জটিল কাজ। কোনো সুনির্দিষ্ট বাহিনী, সংস্থা ও ব্যক্তির পক্ষে তা সম্ভব না। যদি মতাদর্শিক সহিংসতা মোকাবিলা করতে হয়, তাহলে এর প্রকৃতি বুঝতে হবে। চিহ্নিত করতে হবে এর চালকগুলোকে। ওপর থেকে চাপিয়ে দিয়ে কিছু হবে না। যদি কোনো পরিকল্পনা তৈরি করা হয়, সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে ভুক্তভোগীদেরও অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। ‘ঢাকা পিস টক’ সে রকমরই একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক নতুন অ্যাপ্রোচ তৈরির উদ্যোগ। ইউএসএআইডের ‘অবিরোধ : রোড টু টলারেন্স প্রোগ্রামের’ সহায়তায় এটি বাস্তবায়ন করবে অলাভজনক প্রাতিষ্ঠানিক সেন্টার ফর সোশ্যাল অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড রিসার্চ ফাউন্ডেশন (সিসার্ফ)। এর সার্বিক সহায়ক হবে সিটিটিসি। অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এবং সিসার্ফের নির্বাহী পরিচালক শবনম আজিম বলেন, সহিংস উগ্রবাদ বা এর ঘনীভূত রূপ সন্ত্রাসবাদ দমনের মতো একটি দীর্ঘমেয়াদি জটিল কাজ কোনো সুনির্দিষ্ট বাহিনী, সংস্থা ও ব্যক্তির পক্ষেও সম্ভব না। এ জন্য সবাইকেই এগিয়ে আসতে হবে।
