বুধবার, ২৩ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

একনেকে ৪৬৩৬ কোটি টাকার পাঁচ প্রকল্প অনুমোদন

সাইক্লোন শেল্টারের সঙ্গে সংযোগ সড়ক তৈরির নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক

বহুমুখী দুর্যোগ আশ্রয়কেন্দ্র, জেদ্দায় বাংলাদেশ চ্যান্সারি কমপ্লেক্স নির্মাণসহ সড়ক-মহাসড়ক উন্নয়নের জন্য পাঁচটি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। পাঁচ প্রকল্পে ব্যয় হবে চার হাজার ৬৩৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকার দেবে এক হাজার ৪৭৬ কোটি ৪ লাখ এবং বিদেশি ঋণ তিন হাজার ১৬০ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। গতকাল রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বহুমুখী দুর্যোগ আশ্রয়কেন্দ্র প্রকল্পের আওতায় সাইক্লোন শেল্টারগুলো হবে বহুমুখী ব্যবহারের জন্য। এগুলো স্কুল হিসেবেও ব্যবহার করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন নির্দেশনার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সব সাইক্লোন  শেল্টারের সঙ্গে বাধ্যতামূলকভাবে সংযোগ সড়ক তৈরি করতে হবে। সেই সঙ্গে পর্যাপ্ত আধুনিক ও স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট ও পানির ব্যবস্থা থাকতে হবে। এ ছাড়া বৃষ্টির পানি ধরে রাখার জন্য স্থায়ী রিজার্ভার এবং মাল্টিপারপাস সেন্টার রুম নির্মাণ করতে হবে। সৌদি আরবে চ্যান্সারি ভবন নির্মাণ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, চ্যান্সারিতে প্রবাসীরা যাতে স্বস্তিদায়ক বসার জায়গা এবং পানিসহ প্রয়োজনীয় সুবিধা পান সে ব্যবস্থা রাখতে হবে। দ্রুত কাজ শেষ করতে বারবার যেন প্রতিনিধি দলের বিদেশে যেতে না হয়। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অপচয় দুর্নীতির চেয়েও ভয়ঙ্কর। কেননা দুর্নীতি হলে তো ধরা যায়; কিন্তু অপচয়ের ব্যয়তো নির্ধারণ করা সম্ভব নয়। এ ছাড়া প্রকল্পে সবচেয়ে বড় অপচয় হচ্ছে সময়। তাই অপচয় রোধ করে দ্রুত প্রকল্প বাস্তবায়ন প্রয়োজন। মন্ত্রী বলেন, প্রকল্প জনবলসহ প্রক্রিয়াকরণ ও অর্থায়নের ধাপ যাতে কমানো যায় সে জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, প্রকল্পগুলোর মধ্যে বহুমুখী দুর্যোগ আশ্রয়কেন্দ্র প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৩ হাজার ১৭০ কোটি টাকা। সৌদি আরবের জেদ্দায় বাংলাদেশ চ্যান্সারি কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ২০৮ কোটি ৭৯ লাখ টাকা।

 গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৯৯৩ কোটি ৯০ লাখ টাকা।  দর্শনা-মুজিবনগর আঞ্চলিক মহাসড়ক প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ১৪৯ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।

এ ছাড়া চাষাঢ়া-খানপুর-হাজীগঞ্জ-গোদানাইল-আদমজী ইপিজেড সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৩ কোটি ৫২ লাখ টাকা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর