চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়তলী ওয়ার্ডের বিশ্ব কলোনি ও ফয়েস লেক এলাকা থেকে সংগ্রহ করা স্যাম্পলে মিলেছে এডিস মশার লার্ভা ও পিউপির অস্তিত্ব। এ কারণে নগরে নতুন করে ডেঙ্গু ‘আতঙ্ক’ ছড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
তবে এডিস মশার অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়ার বিষয়টি জানিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে স্বাস্থ্য অধিদফতরকে চিঠি দিয়েছেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন। অন্যদিকে, দুই এলাকায় মশার উপদ্রব হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়ায় বাসিন্দারা ডেঙ্গু আক্রান্তের ভয়ে সময় পার করছেন বলে জানা যায়। সিভিল সার্জনের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ‘পাহাড়তলী ওয়ার্ডের ফয়েস লেকের আবদুল হামিদ সড়কের ৫ নম্বর রোডের কয়েকটি এলাকায় স্বাস্থ্য বিভাগীয় কার্যালয়ের একটি দল ও কীট তত্ত্ববিদরা সরেজমিন সার্ভে করেন। সেখানে এডিস মশার লার্ভা ও পিউপি পাওয়া যায়। এছাড়াও ওয়ার্ডের বিশ্ব কলোনি এলাকায় সম্প্রতি ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এখানেও মিলেছে এডিস মশার লার্ভা ও পিউপি।’ প্রসঙ্গত, গত ৬ অক্টোবর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারান ফয়েস লেক এলাকার বাসিন্দা সুনীল বৈদ্যের ১৯ বছরের মেয়ে সুমি বৈদ্য। চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী বলেন, ‘বিশ্ব কলোনি ও ফয়েস লেক এলাকায় নতুন করে অনেকে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। দুই এলাকায় এডিস মশার লার্ভা ও পিউপির অস্তিত্বও মিলেছে। এখানে প্রতিদিন কেউ না কেউ আক্রান্ত হচ্ছে। বিষয়টি জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতর, সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট দফতরে চিঠি দেওয়া হয়েছে।’
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘ডেঙ্গুর প্রকোপ আবারও বেড়ে যাওয়ায় পাহাড়তলী ওয়ার্ডের প্রতিটি এলাকায় মশার ওষুধ ছিটানো হচ্ছে।’
