মাদক, দুর্নীতি, চাঁদাবাজ ও অনুপ্রবেশকারীদের যুবলীগের আগামী কংগ্রেসে থাকতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন সংগঠনের জাতীয় কংগ্রেস প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক চয়ন ইসলাম। তিনি বলেন, মাদক, দুর্নীতি, চাঁদাবাজ ও অনুপ্রবেশকারীসহ যে কোনো অপরাধে সম্পৃক্তদের বিষয়ে আমরা জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছি। আগামী কংগ্রেসে তাদের সঙ্গে আমরা নেই। তারাও আমাদের সঙ্গে থাকতে পারবে না। গতকাল বিকালে সংগঠনের বঙ্গবন্ধু এভিনিউর কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

চয়ন ইসলাম বলেন, আগামী ২৩ নভেম্বরের সপ্তম জাতীয় কংগ্রেস বাস্তবায়নই আমাদের একমাত্র চ্যালেঞ্জ। আমরা সব ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করব। উৎসবমুখর পরিবেশে একটি সুন্দর কংগ্রেস আয়োজন করব। তিনি আরও বলেন, আমরা এক মাস এক দিন সময় পেয়েছি। এর মধ্যে সবার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় একটি সফল সম্মেলন করব। এটাই এখন আমাদের একমাত্র চ্যালেঞ্জ। আমরা ইতিমধ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছি। অনেকগুলো উপ-কমিটি করছি। জাতীয় সম্মেলনের আগে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণসহ মেয়াদোত্তীর্ণ শাখাগুলোর কমিটি দেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে চয়ন বলেন, জাতীয় সম্মেলনের নতুন নেতৃত্ব আসবে, সেই নতুন কমিটি অন্য শাখা কমিটি দেবে। যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব হারুনুর রশীদ বলেন, ঐক্যবদ্ধভাবে নতুন দিনের জন্য একটি সুন্দর সম্মেলন করে কমিটি দেওয়াই আমাদের প্রধান কাজ। আমরা আমাদের সাংগঠনিক নেত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করে এটি করব। যুবলীগকে নিয়ন্ত্রণ করেন একমাত্র শেখ হাসিনা। তিনি যেভাবে বলবেন সেভাবেই সংগঠন পরিচালিত হবে। এ সময় প্রেসিডিয়াম সদস্য আতাউর রহমান, সাঈদুর রহমান সাঈদ, ফারুক হোসেন, মজিবুর রহমান চৌধুরী, আনেয়ারুল ইসলাম, বেলাল হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক মহিউদ্দীন মহি, সুব্রত পাল, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক আতিক, এস এম জাহিদ, প্রচার সম্পাদক ইকবাল মাহমুদ বাবলু, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মাইনুল হাসান নিখিল, সাধারণ সাধারণ ইসমাইল হোসেন, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজাসহ সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।