অনুপ্রবেশের অভিযোগে গত কয়েক মাস ধরে বন্দী ছিল পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাটে সরকারি ‘শুভায়ন’ হোমে। অবশেষে বাংলাদেশে বাবা-মাসহ স্বজনদের কাছে ফিরে গেল ওই হোমে আটক থাকা ৩ (তিন) বাংলাদেশি কিশোর। অন্যদিকে উত্তর দিনাজপুর জেলার কুনোর সিএনসিপি হোম থেকে একজন শিশুকেও এদিন প্রত্যর্পণ করা হয়। নিজের দেশে ফেরত যাওয়া চার বাংলাদেশি কিশোর হলো রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানার শালবাগানের দুই ভাই মো. জহিরুল ইসলাম (১৬) এবং আলামিন ইসলাম (১২)।           এরপর বাকিরা হলো সুনামগঞ্জ জেলার ছরারপাড়ের নুর মোহাম্মদ (১৪), পঞ্চগড়ের তোরিয়ার আরিফ হোসেন (১২)। প্রায় ১৬ মাস আগে বাবার সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলায় নানীর বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল জহিরুল ও আলামিন। ফেরার পথে হিলি সীমান্তে তাদের প্রত্যেককে আটক করে বিএসএফ। দুই ভাইয়েরই পিতা মিঠু ইসলাম এখনো বালুরঘাট কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী রয়েছেন।

অন্যদিকে মায়ের সঙ্গে ভারতে প্রবেশ করে সুনামগঞ্জের নুর মোহাম্মদ। উদ্দেশ্য ছিল কাশ্মীরে কর্মরত বাবার কাছে যাওয়া। কিন্তু ভারতে প্রবেশের কোনো পাসপোর্ট বা বৈধ নথি ছাড়াই ভারতের প্রবেশ করার অভিযোগে তাদের দুজনকেই হিলি সীমান্তে আটক করা হয়। নুরের মা বর্তমানে বহরমপুর সংশোধনাগারে আছেন।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ পশ্চিমবঙ্গের হিলি ইন্টিগ্রেটেড চেক পোস্ট (আইসিপি) দিয়ে এই চার কিশোরকে বিজিবি-এর হাতে তুলে দেয় বিএসএফ। এ সময় বিএসএফ ও বিজিবির কর্মকর্তারা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শুভায়ন হোমের সুপার দরজি শেরপা, হিলি (ভারত) আইসিপির ওসি শিপ্রা রায়, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা ‘চাইল্ড লাইন’-এর সেন্টার কোঅর্ডিনেটর সুরজ দাস, হিলি (বাংলাদেশ) ইমিগ্রেশন ওসি রফিকুজ্জামান। সন্তানদের নিতে সীমান্তে উপস্থিত ছিলেন শিশুর অভিভাবকরাও। বর্তমানে শুভায়ন হোমে এখনো ১৬ জন শিশু রয়ে গেল।