রবিবার, ২৭ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের হালাল পণ্য রপ্তানির সুযোগ তৈরি হয়েছে

ডিসিসিআইর সেমিনার

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত এক সেমিনারে বিশিষ্টজনেরা বলেছেন, বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের হালাল পণ্য রপ্তানির সুযোগ তৈরি হয়েছে। এ সুযোগ কাজে লাগাতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসতে হবে। গতকাল রাজধানীর চেম্বার ভবনে আয়োজিত ‘হালাল ও নিরাপদ খাদ্য’ শীর্ষক সেমিনারে এ কথা বলা হয়। বক্তারা বলেন, বিশ্বব্যাপী মুসলিম জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হালাল পণ্যের বাজারও সম্প্রসারিত হচ্ছে। বর্তমানে হালাল পণ্যের বাজারে ৩ লাখ কোটি ডলারের বেশি বিনিময় হচ্ছে। এর সিংহভাগ অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল ও নিউজিল্যান্ডের দখলে। আমাদেরও এগোতে হবে, আমাদের হাতে সময় এসেছে বাংলাদেশ থেকে হালাল পণ্য রপ্তানির। সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. এ কে ওবায়দুল হক এবং আরব আমিরাতের গবেষক ড. সামিয়া আবদুুল লতিফ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক সামীম মোহাম্মদ আফজাল, সাবেক সচিব আনোয়ার ফারুক, ঢাকা চেম্বারের সিনিয়র সহসভাপতি ওয়াকার আহমেদ চৌধুরী, এসিআই ফুড লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক অনুপ কুমার সাহা, বেঙ্গল মিটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ এফ এম সালেহ আহমেদ প্রমুখ। সেমিনারে ডিসিসিআই সভাপতি ওসামা তাসির বলেন, ‘বর্তমানে বিশ্বব্যাপী হালাল পণ্যের মার্কেট প্রতিনিয়ত বাড়ছে। অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও ব্রাজিল পণ্য রপ্তানিতে এগিয়ে থাকলেও বিশ্বের দ্বিতীয় মুসলিম অধ্যুষিত দেশ হয়েও আমরা অনেক পিছিয়ে রয়েছি। এ ক্ষেত্রে দেশের প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা উন্নয়নের পাশাপাশি হালাল সনদ দেওয়ার প্রক্রিয়া সহজীকরণ প্রয়োজন।’ বাংলাদেশে নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত সৈয়দ মোহাম্মদ আল-মুহাইরি বলেন, ‘বর্তমানে মুসলিম জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে বিশ্বে হালাল পণ্যের চাহিদা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এর বাজারমূল্য প্রায় ২ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। তবে বাস্তবতা হলো, এ বাজার অমুসলিম রাষ্ট্রের হাতে রয়েছে। তাই এখনই সময় এসেছে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর