নগরীর ভাঙাচোরা সড়ক সংস্কারে ১৭৩ কোটি টাকা ব্যয় করেছে রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক)। কিন্তু ছয় মাস না যেতেই সড়কগুলো বিবর্ণ। অনেক সড়কে তৈরি হয়েছে গর্ত। কোথাও উঠে গেছে পাথর। ভাঙাচোরা সড়কে তাই দুর্গতি বেড়েছে মানুষের।
গ্যাস আর পানির সংযোগ দিতে গিয়ে ক্ষতবিক্ষত করা হয়েছে এসব সড়ক। সেই ক্ষত ঢাকার জন্য ১৭৩ কোটি টাকার প্রকল্প নেয় রাসিক।
রাসিকের আয়তন ৯৭ দশমিক ১৮ বর্গকিলোমিটার। ৩০টি ওয়ার্ড ও ১৩৪টি মহল্লাজুড়ে বিস্তৃত এ মহানগরীর অধিকাংশ সড়কই বেহাল। অনেকের মতে, ২০০৮ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত পরিচ্ছন্ন ও ঝকঝকে সবুজ আধুনিক রাজশাহী এখন আর নেই। মহানগরী এখন বিবর্ণ ও ধূসর। রাস্তাঘাটে খানাখন্দ। নগরীর ১২ নম্বর ওয়ার্ড পরিচ্ছন্ন হিসেবে স্বীকৃত। কিন্তু এখানকার সড়কগুলোর বেহাল অবস্থা। কিছুদিন আগেই এ সড়কটি কার্পেটিং হয়েছে। কিন্তু এখনই উঠে যাচ্ছে সড়কের পাথর। মসজিদ মিশন স্কুল থেকে বড়কুটি এবং বড়কুঠি থেকে দরগা পর্যন্ত সড়কের পাথর উঠে যাচ্ছে। অনেক জায়গায় ক্ষতবিক্ষত সড়ক। নগরীর ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের ছোটবনগ্রাম উত্তরপাড়া এলাকার আশরাফুল ইসলাম বলেন, তাদের রাস্তা এখনো কাঁচা। বৃষ্টি হলেই পানি জমে। এ ওয়ার্ডের গৃহবধূ মোর্শেদা বেগম বলেন, তারা রাস্তা চেয়েছেন। কিন্তু কাউন্সিলর দেখা করেন না। রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল হক জানান, এসব ভাঙাচোরা সড়ক পর্যায়ক্রমে মেরামত করা হচ্ছে। কিছু সড়ক মেরামত করা হয়েছে। অন্যগুলোরও কাজ শুরু হবে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সড়কগুলো চকচকে হয়ে যাবে বলে দাবি তার।