চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন কার্যালয় বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোকে একশ মিটারের মধ্যে তামাকজাত পণ্য বিক্রি বন্ধ করতে একটি চিঠি দেয়। ২৫ ফেব্রুয়ারি নগরের প্রায় সব বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে মেইল এবং সরাসরি এ চিঠি পাঠানো হয়। কিন্তু আট মাস পার হলেও এখনো দেদারসে বিক্রি চলছে নানা তামাকপণ্য। ফলে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের নির্দেশনা উপেক্ষিতই থাকল বলে অভিযোগ ওঠেছে। বর্তমানে চট্টগ্রাম নগর ও জেলায় সিভিল সার্জন কার্যালয়ের অনুমোদনে বেসরকারি প্রায় ৫০৪টি হাসপাতাল এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টার চলছে। এর মধ্যে পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র আছে মাত্র ১০৬টির। সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২৫ ফেব্রুয়ারি ‘বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সাধারণ হাসপাতাল, ক্লিনিক, নার্সিং হোম, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, প্যাথলজিক্যাল ল্যাব ধূমপান মুক্ত রাখর নিমিত্তে দৃশ্যমান স্থানে সাইনেজসহ ধূমপান মুক্ত এলাকা ঘোষণা করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ শীর্ষক একটি চিঠি ইস্যু করা হয়। চিঠিতে প্রতিষ্ঠানকে শতভাগ ধূমপান ও তামাকমুক্ত করার জন্য বিশেষ অনুরোধ করা হয়। চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী বলেন, ‘প্রায় ৫০টি হাসপাতালকে ই-মেইলে সরাসরি এবং বাকিগুলোকে বেসরকারি ক্লিনিক সমিতির মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের ১০০ মিটারের মধ্যে তামাকজাত পণ্য বিক্রি নিষিদ্ধ করতে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। কেউ কেউ সরিয়েছে। তবে সবাই তা বাস্তবায়ন করেনি। এ ব্যাপারে আমরা ফলোআপ করছি।’
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, নগরের অধিকাংশ বড় প্রাইভেট হাসপাতালের সামনে এখনো চলছে তামাকপণ্যের বিকিকিনি। কোথাও হাসপাতালের প্রবেশ পথে, কোথাও হাসপাতালের সামনের ফুটপাথ-সড়কে, কোথাও আশপাশে বিক্রি হচ্ছে তামাকপণ্য। এ নিয়ে কর্তৃপক্ষ কখনো কাউকে নিষেধ করেনি বলে জানা যায়।