খুলনায় জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে সাধারণ নেতা-কর্মীদের ক্ষোভের ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। গতকাল দলীয় কার্যালয়ে জেলা বিএনপির বর্ধিত সভায় তোপের মুখে পড়েন নেতারা। এতে তৃণমূলে নেতা-কর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।

সভায় জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুল হাসান বাপ্পী বলেন, খুলনা জেলা বিএনপি এখন পদ-পদবি বিক্রির লিমিটেড ফার্মে পরিণত হয়েছে। কতিপয় বুদ্ধিজীবীর পরামর্শে জেলা বিএনপিকে         কুক্ষিগত করা হয়েছে। তিনি জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনাকে ইঙ্গিত করে বলেন, কম্বলের লোম বাছতে বাছতে জেলা বিএনপি কম্বলবিহীন হয়ে গেছে। যাদের বিরুদ্ধে মাদক, নারী ও চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে তারাই এখন জেলা বিএনপির নীতিনির্ধারক। সভায় মনিরুল হাসান বাপ্পী বলেন, জেলা বিএনপি সভাপতির কাছের এক বুদ্ধিজীবী আমাকে হত্যার জন্য মস্তানদের কাছে ছোট মেশিন (পিস্তল) কিনতে গেছেন। আরেকজন র‌্যাবের সঙ্গে তার ভালো সম্পর্ক আছে জানিয়ে আমার ঢাকার বাড়ির ঠিকানা খুঁজতে শুরু করেছে।

খুলনা জেলা বিএনপি কারও লেজুড়বৃত্তি করলে ওই কমিটি ভেঙে আহ্বায়ক কমিটি গঠনের দাবি জানানো হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন উপজেলা ও ওয়ার্ড কমিটি গঠনে অবৈধ হস্তক্ষেপের অভিযোগ করা হয় বর্ধিত সভায়।

এসব বিষয়ে জেলা বিএনপির সভাপতি শফিকুল আলম মনা বলেন, মূলত ৭ নভেম্বর পালন, ঈদে মিলাদুন্নবী ও দলের নেতা তারিকুল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকী পালন উপলক্ষে সহ-সভাপতি ও সম্পাদকম লীর সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সভায় কেউ কেউ তাদের ক্ষোভের কথা জানিয়েছেন। দল করতে গেলে নেতা-কর্মীদের মধ্যে এ ধরনের ক্ষোভ থাকে আর তা পার্টির ফোরামেই তারা বলে থাকেন। তবে এ ধরনের ক্ষোভ একসময় নিরসন হয়ে যায়।