বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

কাজ করে না সিটি স্ক্যান মেশিন, বিপাকে রোগীরা

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

দুমাস থেকে নষ্ট হয়ে আছে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সিটি স্ক্যান মেশিনটি। এনিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তার স্বজনরা। হাসপাতালের রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগে গিয়ে দেখা যায়, চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর স্বজনদের ভোগান্তি। অনেক রোগীর স্বজন ওয়ার্ড থেকে মেশিন নষ্ট হওয়ার বিষয়টি জেনেও বিশ্বাস না করে রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগে খোঁজ নিয়ে নিশ্চিত হচ্ছেন। রোগীর স্বজন সেজে কথা হয় রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগের কম্পিউটার অপারেটরের দায়িত্বে থাকা একজনের সঙ্গে। তিনি জানান, হাসপাতালের সিটি স্ক্যান মেশিনটি দুমাস থেকে নষ্ট হয়ে আছে।রোগীর স্বজনদের সঙ্গে কথা বললে তারা ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, এক সপ্তাহ দুই সপ্তাহ হলেও হয়! টানা দুই মাস থেকে সিটি স্ক্যান মেশিনটি নষ্ট। এখানে কি কর্তৃপক্ষের কোনো দায় নেই? বিষয়টি যেন গায়েই মাখান না কর্তৃপক্ষ। তৌফিক ইমাম নামের একজন অভিযোগ করে বলেন, ‘গত মাসেই আমার এক বন্ধুর খালার সিটি স্ক্যান করার ব্যবস্থাপত্র দেন চিকিৎসক। কিন্তু                 হাসপাতালের সিটি স্ক্যান নষ্ট থাকায় বেশি টাকা খরচ করে হাসপাতালের বাইরে গিয়ে করতে হয়েছে। যা গরিব মানুষের পক্ষে অনেক কষ্ট হয়ে পড়ে। হাসপাতালে যেখানে ২ হাজার টাকায় সিটি স্ক্যান করা যায় সেখানে ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারে লাগে ৩ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকা।’ খাদিজা খানম নামের আরেক রোগীর স্বজন বলেন, ‘আমার মনে হয় হাসপাতালের এখানেও বড় ধরনের কোনো ঘাপলা আছে।’

মেয়ের মাথার সিটি স্ক্যান করার ব্যবস্থাপত্র দেওয়ায় মোতাহার হোসেন নামের এক ব্যক্তি এসেছেন তার মেয়েকে সিটি স্ক্যান করাতে। কিন্তু সিটি স্ক্যানের মেশিন নষ্ট থাকায় তিনি আক্ষেপ নিয়ে বলেন, ‘মেয়ের সিটিস্ক্যান করাতে এসে শুনছি সিটি স্ক্যানটি নষ্ট। এখন বাধ্য হয়ে বেশি টাকা দিয়ে বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা করাতে হয়।’

হাসপাতালের রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগের প্রধান অধ্যাপক হাফিজুর রহমানকে ফোন করলে তিনি জানান, এই বিষয়ে ফোনে কিছু বলা যাবে না।

রামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস জানান, বিস্তারিত জানতে চাইলে তিনি রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগের অধ্যাপকের সঙ্গে কথা বলতে বলেন।

 

সর্বশেষ খবর