খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, সরকার চলতি আমন মৌসুমে ২৬ টাকা কেজি দরে ৬ লাখ টন ধান কেনার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এবারই প্রথমবারের মতো সরাসরি প্রান্তিক কৃষকের কাছ থেকে আমন ধান সংগ্রহ করবে সরকার। ২০ নভেম্বর থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আমন ধান সংগ্রহ করা হবে।
গতকাল সচিবালয়ে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ধানের সঙ্গে ৩৬ টাকা কেজি দরে সাড়ে ৩ লাখ টন সেদ্ধ চাল ও ৩৫ টাকা কেজি দরে ৫০ হাজার টন আতপ চাল মিলারদের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হবে। তিনি জানান, বর্তমানে ১২ লাখ ৭৭ হাজার ৪৪৭ টন চাল মজুদ আছে। আগামী ১ ডিসেম্বর আমন চাল কেনা শুরু হবে। সাধন চন্দ্র বলেন, এবার ধানের উৎপাদন খরচ ২১ টাকা ৫০ পয়সা। আর আমনের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ১ কোটি ৫৩ লাখ টন। তিনি জানান, কৃষি মন্ত্রণালয় প্রান্তিক চাষিদের একটি প্রাথমিক তালিকা তৈরি করবে।
উপজেলা সংগ্রহ কমিটি যাচাই-বাছাই করে তালিকা চূড়ান্ত করবে। যদি তালিকায় বেশি চাষি হয় তাহলে লটারির মাধ্যমে সিদ্ধান্ত হবে।এ বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক বলেন, আমন ধান কেনার জন্য লটারির মাধ্যমে যেসব চাষি নির্বাচিত হবেন, তারা বোরো মৌসুমে সুযোগ পাবেন না। প্রান্তিক চাষিদের ধানের ন্যায্য দাম নিশ্চিতে সরকার প্রতি বছর বোরো মৌসুমে ধান ও চাল সংগ্রহ করলেও আমন মৌসুমে শুধু চাল সংগ্রহ করা হতো।
১০ টাকার চাল সাত মাস : খাদ্যমন্ত্রী জানান, খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভায় অতিদরিদ্রদের জন্য ১০ টাকা কেজির চাল বিক্রির মেয়াদ দুই মাস বাড়িয়ে সাত মাস করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর ও মার্চ থেকে মে পর্যন্ত ১০ টাকা করে চাল দেওয়া হবে। আগে সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর এবং মার্চ ও এপ্রিল এ পাঁচ মাস দেওয়া হতো। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর থেকে দেশের অতিদরিদ্র ৫০ লাখ পরিবারকে ১০ টাকা কেজি দরে মাসে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হচ্ছে।
