শিরোনাম
শনিবার, ২ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

ট্যানারি পল্লী হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরীতে

চামড়াজাত শিল্প পুনরুজ্জীবিত করতে বিশেষ উদ্যোগ

ফারুক তাহের, চট্টগ্রাম

সাভারের পর বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল মিরসরাইয়ের বঙ্গবন্ধু শিল্প নগরীতে আরও একটি পূর্ণাঙ্গ ট্যানারিপল্লী করতে যাচ্ছে সরকার। চামড়া ও চামড়াজাত শিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করতে সরকারের বিশেষ এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন ব্যবসায়ী নেতা ও শিল্পোদ্যোক্তারা। গেল কোরবানির মৌসুমে চামড়ার বাজারে অকল্পনীয় ধস এবং চামড়া সংরক্ষণে সীমাবদ্ধতার অজুহাতে চামড়া সংগ্রহে অনীহাÑ এসব বিবেচনায় রেখে দ্রুত মিরসরাইয়ে ট্যানারিপল্লী স্থাপন করতে যাচ্ছে সরকার। যার জন্য ৩০০ একর জমিও চিহ্নিত করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু শিল্প নগরীতে। বাংলাদেশ ইকনোমিক জোন অথরিটির (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী জানান, বাণিজ্যিক নগরী হিসেবে চট্টগ্রাম অঞ্চলে কোনো লেদার ভিলেজ না থাকা দুঃখজনক। এ লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট শিল্পের উন্নয়নে অর্থনীতি তথা দেশের স্বার্থে দীর্ঘমেয়াদি উদ্যোগ নেওয়া জরুরি। ট্যানারিশিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করতে মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে চামড়াজাত পণ্য উৎপাদনের জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করা হচ্ছে। এটা চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী মহল থেকেও দাবি উঠেছে। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প করপোরেশন (বিসিক) সূত্রে জানা গেছে, বিদেশি মুদ্রা আহরণে চামড়াশিল্পের সক্ষমতা বাড়াতে সাভারের পর আরও দুটি ট্যানারিপল্লী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ দুটির একটি রাজশাহীতে এবং অন্যটি মিরসরাইয়ে বঙ্গবন্ধু শিল্প নগরীতে। এ লক্ষ্যে বেজাকে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে আর্নেস্ট মানি জমা দেওয়া হবে। সূত্র জানায়, গত অর্থবছরে চামড়া খাত থেকে প্রায় ১ দশমিক ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় হয়েছে। দেশের ক্রমবর্ধমান কাঁচা চামড়া সরবরাহের পুরোটাই ফিনিশড প্রোডাক্ট তৈরি করে রপ্তানি করতে পারলে অনায়াসে ২০২২ সালের মধ্যে এ খাত  থেকে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি আয় করতে সক্ষম হবে।

সর্বশেষ খবর