শনিবার, ২ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

জ্যামিতিক হারে বাড়ছে সাইবার ক্রাইম

অবস্থাপন্ন ও নারীরাই প্রধান শিকার

মুহাম্মদ সেলিম, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে জ্যামিতিক হারে বাড়ছে সাইবার ক্রাইম; যার অন্যতম শিকার নারী ও সমাজের প্রতিষ্টিত ব্যক্তিরা। পুলিশের দেওয়া তথ্যমতে, সংগঠিত সাইবার ক্রাইমের এক শতাংশ ভুক্তভোগীও মামলা করতে চান না। যদি সব অপরাধের রেকর্ড হতো তাহলে দেশের অপরাধের শ্রেণিবিন্যাসে শীর্ষ থাকত সাইবার ক্রাইম। তথ্যপ্রযুক্তিবিদ ড. ফয়সাল কামাল চৌধুরী বলেন, ‘দেশে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সাইবার ক্রাইম। সহিংস উগ্রবাদ, সাইবার বুলিং, মিথ্যা সংবাদ, গুজব, রাজনৈতিক অপপ্রচার, চাঁদাবাজি কিংবা কাউকে হেয় করে অপপ্রচার সবই হচ্ছে সাইবার জগতে। প্রযুক্তি ব্যবহার করতে গিয়ে ৬৮ শতাংশ নারীই সাইবার ক্রাইমের শিকার হচ্ছেন।’ সিএমপির কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের উপকমিশনার মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, ‘প্রতিদিনই কোনো না কোনো ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন। তবে তারা মৌখিকভাবে অভিযোগ করলেও কেউ মামলা করতে রাজি হন না। তাই নিজেদের অবস্থানে থেকে ভুক্তভোগীর জন্য সর্বাত্মক সহায়তা করা হয়।’ অনুসন্ধানে জানা যায়, সময়ের সঙ্গে পাল্লা                  দিয়ে বাড়ছে প্রযুক্তিনির্ভর অপরাধ। প্রতি মাসে সিএমপির বিভিন্ন ইউনিটে অসংখ্য অভিযোগ জমা পড়ে; যার মধ্যে রয়েছে ফেসবুক, ইমু, হোয়াটসঅ্যাপ, ভাইবার, টুইটারসহ বিভিন্ন সামাজিক ও যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে অপরাধ। তবে চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানায় জমা পড়া উল্লেখযোগ্য অপরাধ হচ্ছে ফেসবুক-সংক্রান্ত। জমা পড়া অভিযোগের বেশির ভাগই হচ্ছে ফেসবুক আইডি হ্যাক, ভুয়া আইডি তৈরি, ব্ল্যাকমেইলিং, ফেসবুকে আপত্তিকর স্ট্যাটাস, কুৎসা রটনা, গুজব রটনা, চাঁদাবাজি অন্যতম। এসব ঘটনার অন্যতম শিকার হচ্ছে নারী ও সমাজে অবস্থাপন্ন ব্যক্তি; যারা এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত তার সিংহভাগই হচ্ছে কিশোর ও তরুণ বয়সের। কয়েকটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতিদিনই সাইবার ক্রাইম-সংক্রান্ত নানান অভিযোগ আসে থানায়। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ভুক্তভোগীরা মামলা করতে চান না। তারা আপস-মীমাংসার মাধ্যমে প্রতিকার চান। যতগুলো অভিযোগ আসে যদি সেগুলো মামলা হিসেবে রেকর্ড হতো তাহলে সিএমপির সিংহভাগ অপরাধ হতোই সাইবার ক্রাইম মামলা। শতাংশ হিসেবে অন্যান্য অপরাধের তুলনায় সাইবার ক্রাইম-সংক্রান্ত অভিযোগ আসে কয়েক গুণ বেশি। ভুক্তভোগীর এক শতাংশও অভিযোগ মামলা হিসেবে দায়ের করতে রাজি হন না।

এর মধ্যে আবার প্রায় ৮৫ শতাংশের বয়স ৩০ বছরের কম।

সর্বশেষ খবর