শনিবার, ২ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা
জেলহত্যা দিবসের আলোচনা

বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ ছিলেন বলেই চার নেতা হত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাম লীর সদস্য আমির হোসেন আমু বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর হওয়ার কারণেই জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়। এই হত্যাকা  শুধু রাজনৈতিক অঙ্গনেই সীমাবদ্ধ ছিল না বরং সামরিক বাহিনীর খেতাবপ্রাপ্ত অনেককে বিভিন্ন সময় এ জন্য ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছিল। গতকাল রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে (আইডিইবি) শহীদ এম মনসুর আলী স্মৃতি সংসদের আয়োজনে জেলহত্যা দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিমের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাম-লীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী প্রমুখ। আমির হোসেন আমু বলেন, চার নেতাকে নির্মমভাবে হত্যার সময়ে আমরাও ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে একই সঙ্গে ছিলাম। চার নেতা হত্যাকা- কোনো ব্যক্তি গোষ্ঠী বা দলের বিরুদ্ধে নয় বরং বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সাহচর্যের কারণেই তাদের হত্যা করা হয়। তোফায়েল আহমেদ বলেন, যেদিন কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে এই জাতীয় চার নেতাকে সভ্যতার ইতিহাস ভঙ্গ করে হত্যা করা হয়েছিল সেদিন আমি ছিলাম ময়মনসিংহ কারাগারে। বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর আমাকে সেখানে বন্দী করে রাখা হয়। হঠাৎ দেখলাম জেলখানার মধ্যে একটি অস্বাভাবিক পরিস্থিতি। তখন জেল সুপার নির্মলেন্দু রায় এসে আমাদের এই দুঃসংবাদটি জানান। এই চার নেতার সঙ্গে আমার অনেক স্মৃতি ছাত্রজীবন থেকে।

১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম বলেন, আমি মনসুর আলীর একজন হতভাগ্য সন্তান। আমার দুঃখ আছে যে পিতার মুখ শেষবারের মতো দেখতে পারিনি। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি একটি কমিশন গঠন করার জন্য। কারা সেদিন জেলহত্যার পেছনে কাজ করেছিল সেই সেনা কর্মকর্তাসহ অন্যদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। শুধু ঘাতক কর্নেল ফারুক, ডালিমরাই খুন করেনি এর পেছনে কে ছিল, জিয়াউর রহমানের কী ভূমিকা ছিল তাদের বের করতে হবে।

সর্বশেষ খবর