রবিবার, ৩ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

মডেল টেস্টের নামে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ভোলা ডিপিইওর বিরুদ্ধে

সরকারি আদেশ উপেক্ষা

রাহাত খান, বরিশাল

সরকারি আদেশ উপেক্ষা করে ভোলার ৭ উপজেলায় ৫ম শ্রেণিতে মডেল টেস্ট গ্রহণের নামে কয়েক লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ডিপিইও) নিখিল চন্দ্র হালদারের বিরুদ্ধে। গত ১৫ অক্টোবর থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত ভোলা জেলার ৭ উপজেলায় একযোগে ৫ম শ্রেণির মডেল টেস্ট অনুষ্ঠিত হয়। এ বাবদ ১৭ লাখ ৯৮ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করা হয়। এর মধ্যে স্ব-স্ব উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস শিক্ষার্থী প্রতি ১০ টাকা করে রেখে বাকি ৪০ টাকা করে (১৩ লাখ ৬৭ হাজার ৮৪০ টাকা) জমা দেন ভোলা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার (সোনালী ব্যাংক, ভোলা শাখা) সরকারি হিসাব নম্বরে।

মডেল টেস্ট গ্রহণের জন্য প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্র, লুজ শিট, প্রবেশপত্র ও খাম ছাপা হয় বরিশাল নগরীর হাসপাতাল রোডের মায়ের দোয়া অফসেট প্রেসে। এ প্রেসে শিক্ষার্থী প্রতি ৬ বিষয়ের প্রশ্নপত্র ছাপা বাবদ ৩টাকা, ৬ বিষয়ের উত্তরপত্র ও লুজ শিট বাবদ ২১ টাকা ৪০ পয়সা, প্রবেশপত্র ৪০ পয়সা এবং খাম ও প্যাকেজিং খরচ বাবদ শিক্ষার্থী প্রতি গড়ে ৫০ পয়সা খরচ হয়। সে হিসেবে শিক্ষার্থী প্রতি ২৫ টাকা ৩০ পয়সা খরচ হয়। ৭ উপজেলার ৩৪ হাজার ১৯৬ শিক্ষার্থীর কাছ থেকে মোট ১৩ লাখ ৬৭ হাজার ৮৪০ টাকা আদায় করা হলেও প্রশ্ন ও উত্তরপত্রসহ আনুষঙ্গিক খরচের পর তার হিসাব নম্বরে অবশিষ্ট আছে ৫ লাখ ২ হাজার ৬৮২ টাকা। এর পুরোটাই আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে ডিপিইও নিখিল চন্দ্র হালদারের বিরুদ্ধে।

অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ অস্বীকার করে ডিপিইও নিখিল চন্দ্র হালদার বলেন, জেলার ২৬৭টি পরীক্ষা কেন্দ্রে সিলগালা প্যাকিং করে প্রশ্ন ও উত্তরপত্র পাঠানো হয়েছে। পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরি এবং শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের উপজেলা থেকে জেলা অফিসে আসা-যাওয়া এবং খাওয়ায় অনেক টাকা খরচ হয়েছে। উপজেলা অফিসের হাত থেকে ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস মডেল টেস্ট আয়োজন করে সরকারি নীতিমালা ভঙ্গ করেনি বলে দাবি করেন ভোলা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নিখিল চন্দ্র দাস।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর