রবিবার, ৩ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

নারায়ণগঞ্জে চার তলা ভবন হেলে পড়ায় আতঙ্ক

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জে চার তলা ভবন হেলে পড়ায় আতঙ্ক

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের শহরের খানপুরের ব্রাঞ্চ রোড এলাকায় একটি চার তলা ভবন পাশের চার তলা ভবনের ওপর হেলে পড়ায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। শুক্রবার রাতে প্রশাসনের নির্দেশের পর ওই ঝুঁকিপূর্ণ ভবন দুটি থেকে বাসিন্দাদের অন্যত্র সরে যেতে নির্দেশনা দেন প্রশাসনের লোকজন। গতকাল সকাল থেকেই ভাড়াটিয়াদের মালপত্র নিয়ে অন্যত্র চলে যেতে দেখা গেছে। তবে হেলে পড়া চার তলা ভবনের (কাজী ভবন) মালিকপক্ষ একে নিছক গুজব ও ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছেন। স্থানীয়রা জানান, ব্রাঞ্চ রোডে হাজী কাজী সিরাজুল ইসলাম এক যুগ আগে বহুতল ভবন নির্মাণ করেন। প্রথমে তার বাড়িটি ছিল দোতলা। কয়েক বছর আগে তিনি তৃতীয় ও চতুর্থ তলা নির্মাণ করেন। অন্যদিকে তার পাশের কাঠ ব্যবসায়ী হারুন অর রশিদ তিন বছর আগে চার তলা ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেন। তবে তাদের দুজনের কেউই নির্মাণবিধি মেনে কাজ করেননি। ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে জমির চারপাশে যে পরিমাণ ছাড়তে হয় তারা কেউই তা ছাড়েননি; যে কারণে হারুন অর রশিদ যখন তার ভবনের তৃতীয় ও চতুর্থ তলার কাজ করতে যান তখনই ঘটে বিপত্তি। এদিকে সম্প্রতি হারুন অর রশিদ তার ভবনের পেছনের দিকে পাইলিংয়ের কাজ করার সময় বাধা দেন কাজী সিরাজুল ইসলাম; এ নিয়ে উভয় বাড়ির মালিকদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। চার তলা ভবন দুটিতে ১৬টি পরিবার বাস করত। শুক্রবার রাত ১১টার দিকে ৯৯৯ নম্বরে কেউ একজন কল করে চার তলা ভবন হেলে পড়ার বিষয়টি জানান। খবর পেয়ে সদর মডেল থানা পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষ এসে ঝুঁর্কিপূর্ণ ভবন দুটি থেকে বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটিয়া সবাইকে সরে যেতে নির্দেশ দেন। গতকাল দুপুরে সরেজমিন দেখা গেছে, চার তলাবিশিষ্ট কাজী ভবনটি পাশের চার তলাবিশিষ্ট ভূইয়া ভবনের ওপর হেলে পড়েছে। ভবন দুটির তৃতীয় ও চতুর্থ তলার অংশ এখন মিলিত হয়ে গেছে। হেলে পড়া ভবনটির দ্বিতীয় তলার ভাড়াটিয়া শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘তিন বছর ধরে এ বাড়িতে বাস করছি। কিন্তু গতকাল (শুক্রবার) রাতে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ প্রশাসনের লোকজন এসে ভবন হেলে পড়ার বিষয়টি সবাইকে অবহিত করেন। তাই পুলিশের লোকজন ঝুঁকিপূর্ণ এ ভবন ত্যাগ করার নির্দেশনা দিয়েছেন। এ কারণে মালামাল নিয়ে এক আত্মীয়ের বাড়িতে উঠেছি।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর