মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

শিল্পকলায় ‘গীতি চন্দ্রাবতী’

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

শিল্পকলায় ‘গীতি চন্দ্রাবতী’

নিয়মিত প্রযোজনার অংশ হিসেবে শিল্পকলা একাডেমিতে মঞ্চায়ন হলো সংস্কার নাট্যদলের নাটক ‘গীতি চন্দ্রাবতী’। গতকাল সন্ধ্যায় একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার পরীক্ষণ থিয়েটার হলে মঞ্চায়ন হয় নাটকটি। নয়ান চাঁদ ঘোষ রচিত নাটকটির নির্দেশনায় ছিলেন ইউসুফ হাসান অর্ক। বাল্যকালে চন্দ্রাবতীর বন্ধু ও খেলার সাথী ছিল জয়ানন্দ নামের এক অনাথ বালক। কৈশোর উত্তীর্ণ হলে স্থির হয় বিয়ে করবে তারা। ঠিক হয় বিয়ের দিন। এরই মাঝে জয়ানন্দ প্রেমে পড়ে এক মুসলিম নারী আসমানীর। জয়ানন্দ ধর্মান্তরিত হয়ে বিয়ে করে আসমানীকে। যেদিন জয়ানন্দ  বিয়ে করে সেইদিনই চন্দ্রাবতীর সঙ্গে তার বিয়ে হওয়ার কথা।বধূ সাজে সজ্জিত চন্দ্রাবতী জানতে পারে জয়ানন্দ বিয়ে করেছে অন্যত্র। ব্যথাতুর চন্দ্রাবতী প্রতিজ্ঞা করে কুমারী থেকে শিবের সাধনায় জীবন কাটাবে।

 পিতার কাছে অনুমতি চাইলে চন্দ্রাবতীকে তিনি পরামর্শ দেন রামায়ণ লেখার। চন্দ্রাবতী শুরু করে শিব স্তুতি ও সাহিত্য সাধনা। এক সময় জয়ানন্দ উপলব্ধি করে আসমানীর প্রতি তার টান মোহ মাত্র। প্রকৃতপক্ষে চন্দ্রাবতীকেই ভালোবাসে সে। ভুল শোধরাতে জয়ানন্দ এক সন্ধ্যায় এসে পৌঁছায় চন্দ্রাবতীর মন্দিরে। চন্দ্রাবতী তখন রুদ্ধদ্বার ধ্যানমগ্ন। জয়ানন্দ ডাকাডাকি করে অনেক বার, কিন্তু ধ্যান ভাঙেনি চন্দ্রাবতীর। ব্যর্থ জয়ানন্দ মন্দিরের দরজায় একটি কবিতা লিখে বিদায় নেয় চিরদিনের মতো। ধ্যান ভাঙলে চন্দ্রাবতী নদীর ঘাটে যায় জল আনতে। সেখানে গিয়ে দেখে, জয়ানন্দের নিথর দেহ ভাসছে নদীর জলে। এভাবেই এগিয়ে যায় নাটকটির কাহিনী। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন মনামী ইসলাম কনক, বাপ্পী সাইফ, ফাতেমা তুজ জোহরা ইভা, আশিকুর রহমান, নাবা চৌধুরী, খন্দকার রাকিবুল হক, মাসুদ কবির প্রমুখ।

জাদুঘরে সৈয়দ আবদুল্লাহ খালিদের প্রদর্শনী : বাংলাদেশ অদম্য, অপরাজেয়। বাঙালি বীরের জাতি। আর এ বিষয়টি মূর্ত হয়ে উঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলা ভাস্কর্যে। শিল্পীর নিপুণ হাতের কারুকার্যে ভাস্কর্যটিতে শুধু শিল্পই ফুটে ওঠেনি, প্রতিফলিত হয়েছে এদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের গৌরবগাথা। এই ভাস্কর্যটি নির্মাণ করে ইতিহাসের অংশ হয়েছেন ভাস্কর সৈয়দ আবদুল্লাহ খালিদ। গুণী এই ভাস্করের শিল্পকর্ম ও স্মৃতি নিদর্শন নিয়ে বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে জাতীয় জাদুঘর। গতকাল সন্ধ্যায় জাদুঘরের নলিনীকান্ত ভট্টশালী প্রদর্শনী গ্যালারিতে এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সভাপতি শামসুজ্জামান খান। উদ্বোধনীতে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান। জাদুঘর বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য স্থপতি রবিউল হুসাইনের সভাপতিত্বে এতে আলোচক ছিলেন ভাস্কর হামিদুজ্জামান খান এবং শিল্পসমালোচক মঈনুদ্দিন খালেদ। স্বাগত ভাষণ দেন জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. রিয়াজ আহম্মদ। আনিসুজ্জামান বলেন, তিনি শুরু করেছিলেন পেইন্টিং দিয়ে, কিন্তু ভাস্কর্য দিয়েই তার পরিচয়। অপরাজেয় বাংলা মুক্তিযুদ্ধের প্রতীক হয়ে আছে। মুক্তিযুদ্ধের আত্মত্যাগ, মহৎ চিন্তার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে তার ভাস্কর্যে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর