চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে এখন পর্যন্ত মিয়ানমার থেকে ৩০ হাজার টন পিয়াজ আমদানি করা হয়েছে। প্রতি কেজি পিয়াজ ক্রয় করা হয় ৪২ টাকায় এবং বিক্রি করা হয় ৯৫ টাকায়। এর মধ্যে প্রতি কেজিতে অতিরিক্ত নেওয়া হয়েছে ৫৩ টাকা। কেবল আমদানিকারকরাই এভাবে নিয়ে যাচ্ছেন ১৫৯ কোটি টাকা। এরপর খুচরা বাজারে আসতে আসতে এর অঙ্ক দাঁড়ায় প্রায় ২১০ কোটি টাকা। গতকাল দুপুরে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে প্রশাসনের সঙ্গে পিয়াজ ব্যবসায়ীদের বৈঠকে এভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের অভিজ্ঞতা তুলে ধরা হয়। তবে অভিযান, জরিমানাসহ নানা উদ্যোগের পরও পিয়াজ ব্যবসায়ীরা আগামী দু-তিন দিন পর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পিয়াজ ১০০ টাকা করে বিক্রি করার ঘোষণা দেন। সভায় সার্বিক বিষয় মনিটরিংয়ের জন্য একটি তদারক সেল গঠনেরও সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক ইয়াসমিন পারভিন তিবরীজি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. সেলিম হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. কামাল হোসেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম, ক্যাবের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক শাহিদা সুলতানা, খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ খান মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইদ্রিস আলী প্রমুখ।
ইয়াসমিন পারভিন তিবরীজি বলেন, কমিটি গঠন করে মনিটর করা হবে- কত দামে কিনছেন আর কত দামে বিক্রি করছেন। আড়তে থাকা বেশি দামের পিয়াজ বুধবারের মধ্যে বিক্রি শেষ করবেন। এর পরদিন থেকে কত দামে কেনা হচ্ছে তা মনিটরিং করা হবে।
মো. সেলিম হোসেন বলেন, দু-একদিনের মধ্য খুচরা বাজারে পিয়াজ ১০০ টাকার নিচে আনতে যা যা করা দরকার খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। দুই সপ্তাহের মধ্যে পিয়াজের দাম ৪০ টাকার মধ্যে নেমে আসবে।ইদ্রিস আলী বলেন, আগামী দু-একদিনের মধ্যে খাতুনগঞ্জে পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি পিয়াজ ৮০-৮৫ টাকা এবং খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি ১০০ টাকায় বিক্রি করা হবে। আমদানিকৃত পিয়াজ দেশে এলে ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি করা হবে।