মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

কাটল ওমরাহ হজের জটিলতা

আজ শুরু চলতি বছরের ভিসা প্রদান কার্যক্রম

নিজস্ব প্রতিবেদক

অবশেষে ওমরাহ হজের জটিলতা কেটেছে। আজ থেকে চলতি বছরের ওমরাহ হজের ভিসা প্রদান কার্যক্রম শুরু হবে। এবারই প্রথমবারের মতো মক্কা ও মদিনায় ওমরাহ হজযাত্রীদের নির্দিষ্ট আবাসনে থাকতে হবে। আগামী ২০২০ সালে বাংলাদেশের সব হজ যাত্রীর ইমিগ্রেশন হবে ঢাকায়। ২০১৯ সালে সৌদি সরকারের ‘মক্কা রুট ইনিশিয়েটিভ’ কর্মসূচির আওতায় প্রায় অর্ধেক হজযাত্রী সৌদি আরব অংশের ইমিগ্রেশন জেদ্দার পরিবর্তে ঢাকায় সম্পন্ন হয়েছে। ওমরাহ হাজীদের আগের নিয়মে বিমানবন্দরে কার্যক্রম চলবে। এ ছাড়া হজ ব্যবস্থাপনাকে সহজ ও উন্নত করতে ১০ দফা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। ধর্ম প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শেখ মো. আবদুল্লাহ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ২০২০ সালের বাংলাদেশের হজ ব্যবস্থাপনা সহজ করতে ১০ দফা পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। আজ এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে সভা ডাকা হয়েছে। প্রস্তাবিত ১০ দফার মধ্যে রয়েছে- সৌদি সরকারের রুট টু মক্কা ইনিশিয়েটিভের আওতায় বাংলাদেশের শতভাগ হজযাত্রীর ইমিগ্রেশন বাংলাদেশে করানো হবে। হজযাত্রীদের লাগেজ ব্যবস্থাপনা আরও দ্রুত ও উন্নত করা। বাংলাদেশি হজযাত্রীদের কোটা বাড়ানো। হজের ব্যয় কমানো। সরকারি ব্যবস্থাপনায় (ব্যালটি) হজযাত্রীর সংখ্যা বাড়ানো। হজ ও ওমরাহ আইন প্রণয়ন এবং বাস্তবায়ন। জেদ্দা ও মদিনা বিমানবন্দরে হজযাত্রীদের অপেক্ষার সময় কমানো। সব দেশের হাজীদের সুবিধার জন্য মিনার আয়তন বাড়াতে রাজকীয় সৌদি সরকারকে আনুষ্ঠানিক আহ্বান জানানো হবে। মাশায়ের মোকাদ্দাসায় হাজীদের সুবিধা আরও বাড়ানো এবং হাজীদের খাবার সরবরাহে সৌদি আরবের প্রাইভেট কোম্পানিগুলোর বাধ্যবাধকতা বন্ধ করা। ফলে সারা বিশ্বে লাখ লাখ হজযাত্রী উপকৃত হবেন। ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশি হজযাত্রীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। ২০০৯ সালে বাংলাদেশি হজযাত্রীর সংখ্যা ছিল ৫৮ হাজার ৬২৮ জন। ২০১৯ সালে হজযাত্রীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ লাখ ২৬ হাজার ৯২৩ জনে। ভবিষ্যতে হজযাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে এ সংক্রান্ত কার্যক্রমও বৃদ্ধি পাবে। এ ছাড়া হজ ক্যাম্প সম্প্রসারণ ও সংস্কার-সংক্রান্ত কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর