বুধবার, ১৩ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

হুমায়ূন সাহিত্য পুরস্কার পেলেন রাবেয়া খাতুন ও সাদাত হোসাইন

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

‘এক্সিম ব্যাংক-অন্যদিন হুমায়ূন আহমেদ সাহিত্য পুরস্কার ২০১৯’ পেলেন রাবেয়া খাতুন ও সাদাত হোসাইন। সাহিত্যে সামগ্রিক অবদানের জন্য এ পুরস্কার পেয়েছেন রাবেয়া খাতুন ও নবীন সাহিত্যশ্রেণিতে পুরস্কার পেয়েছেন ‘নিঃসঙ্গ নক্ষত্র’ উপন্যাসের জন্য সাদাত হোসাইন।

প্রতি বছর লেখকের জন্মদিনের আগের দিন এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় গতকাল এক অনুষ্ঠানে তাদের হাতে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। বিকালে বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনের পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নূর। সভাপতিত্ব করেন এই পুরস্কারের জন্য গঠিত বিচারকম-লীর সভাপতি ও জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। স্বাগত বক্তৃতা করেন অন্যদিন সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম। অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তৃতা করেন হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন ও লেখকের ছোট ভাই শিক্ষাবিদ লেখক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল।

আবদুল মোমেন বলেন, বর্তমান সমাজে আমরা অবক্ষয় দেখি। আর এসব অবক্ষয় দূর করতে পারে সৃজনশীল নানা কর্ম। হুমায়ূন আহমেদের নামাঙ্কিত এ পুরস্কার এই অঙ্গনের মানুষদের অনুপ্রেরণা দেবে।

মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, হুমায়ূন আহমেদের প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল ‘ডোন্ট কেয়ার’। তিনি সত্যি কাউকে তোয়াক্কা করতেন না। তিনি যা ভালো মনে করতেন তাই করতেন। সারা দেশে যখন রাজাকারদের কথা উচ্চারণ করা অঘোষিতভাবে নিষিদ্ধ ছিল তিনি তখন টিয়া পাখির মুখ দিয়ে ‘তুই রাজাকার’ উচ্চারণ করিয়েছিলেন।

মেহের আফরোজ শাওন বলেন, হুমায়ূন আহমেদ বাংলা সাহিত্যে শুধু অসংখ্য পাঠক তৈরি করেননি পাশপাশি তার লেখা অনুপ্রাণিত করেছে অসংখ্য লেখককে। তার নামাঙ্কিত এ পুরস্কার তরুণ লেখকদের উৎসাহিত করবে বলে আশা করি।

সভাপতির বক্তৃতায় জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, হুমায়ূন আহমেদ অমরতার আসন গ্রহণ করেছেন। এখন তার নামে নামাঙ্কিত পুরস্কার নিয়ে আমরা কতদূর যেতে পারি সেটি দেখার বিষয়। এই পাঁচ বছরে যারা এ পুরস্কার পেয়েছেন তারা এ পুরস্কারকে সম্মানিত করেছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর