বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

ঝুঁকি নিয়েই চলছে ট্রেন

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

ঝুঁকি নিয়েই চলছে ট্রেন

বাংলাদেশ রেলওয়ের ট্রেন চলাচলে মূল ভূমিকা রাখছেন লোকো মাস্টার (এলএম), সহকারী লোকো মাস্টার (এএলএম) বা ট্রেন চালকরা। তাছাড়া ট্রেন পরিচালনায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন পরিবহন বিভাগের কর্মীরা। তবে আশঙ্কার কথা হচ্ছে ট্রেন চালনার সঙ্গে যুক্ত লোকোমাস্টার (এলএম) বা কর্মীরা জনবল সংকটের কারণে নিয়ম অনুযায়ী বিশ্রাম পান না। এতে বাধ্যতামূলকভাবে নিয়মিত রিফ্রেশার/সতেজীকরণ কার্যক্রমে যাওয়ার কথা থাকলেও সংকটের কারণে সেটিও বিঘ্নিত হচ্ছে প্রতিনিয়িত। ফলে লোকবলসহ নানাবিধ সংকটেই ট্রেন পরিচালনায় দুর্ঘটনা ঝুঁকি বাড়ছে। তবে সম্প্রতি রেলের দুর্ঘটনা পরবর্তী এক তদন্ত প্রতিবেদনে এলএম, এএলএম ও গার্ডদের রিফ্রেশার কার্যক্রম নিয়মিত করতে সুপারিশও করা হয়েছে বলে রেল সূত্রে জানা গেছে। রেলওয়ের তথ্য মতে, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট রুটে ট্রেন পরিচালনার জন্য পাহাড়তলী ও ঢাকা লোকোশেডে পোস্টিং হয় চালকদের। এর মধ্যে পাহাড়তলী লোকোশেডে লোকোমাস্টারের মঞ্জুরিকৃত পদ ২৩৪টি। এর মধ্যে বর্তমানে কর্মরত রয়েছেন মাত্র ১৬৫ জন। এছাড়া ঢাকা লোকোশেডে মঞ্জুরিকৃত পদ ২৩৩ টির মধ্যে ১৬৯ জন কর্মরত রয়েছে। যদিও মঞ্জুরিকৃত এই পদ ১৯৮৩ সালে আন্তনগর  ট্রেন চালুর পর সৃজন করা হয়েছিল। অর্থাৎ দীর্ঘ বছরে রেলে যাত্রীবাহী ট্রেনের সংখ্যা দ্বিগুণ হলেও মঞ্জুরিকৃত পদ এখনো বাড়েনি। তাছাড়া মঞ্জুরিকৃত পদের মধ্যেও লোকোমাস্টারের সংকটও তীব্র। তবে পূর্বাঞ্চলের মোট মঞ্জুরিকৃত পদ হচ্ছে  ৯৮০ জন। এর মধ্যে  কর্মরত আছেন ৬৪৭ জন এবং পদ শূন্য আছে ৩৩৩টি। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলেন, রেলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সেবা প্রদান করেন চালক ও গার্ড। একটি ঝুঁকিহীন ট্রেন চালাতে তারা পরিশ্রম করলেও লোকবল সংকটের কারণে নানান দুর্ভোগ পোহাতে হয়। অনেক সময় নির্ধারিত বিশ্রামের চেয়েও কম সময়ের মধ্যে নতুন কোনো ট্রেন চালানোর বিষয়ে ডাক পড়ে। এতে ট্রেন চালানোর বিষয়ে ঝুঁকি থেকেই যায়।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর