বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

রহস্যের বেড়াজালে ভল্ট ভেঙে ২০ কেজি সোনা চুরির ঘটনা

‘ মাঠে নেমেছে গোয়েন্দারা

বেনাপোল প্রতিনিধি

বেনাপোল কাস্টমস হাউসের ভল্ট ভেঙে ২০ কেজি সোনা চুরির ঘটনা উদঘাটনে সব গোয়েন্দা সংস্থা এখন মাঠপর্যায়ে কাজ শুরু করেছে।

তবে আরও কোটি কোটি টাকার সোনা, ডলার ও টাকা-পয়সা ভল্টে থাকলেও তা নেয়নি দুর্বৃত্তরা। কীভাবে চার স্তরবিশিষ্ট নিরাপত্তাবেষ্টনী ও ২০টি সিসি ক্যামেরা পেরিয়ে দুর্বৃত্তরা ভল্ট ভেঙে ২০ কেজি সোনা নিয়ে গেল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

কাস্টমসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা ও ভল্ট ইনচার্জ সাহিবুর সরদারসহ ৫ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে কাস্টমসের বিভিন্ন শাখায় নিয়োজিত তিনজন পিয়নকে সন্দেহের তালিকায় রাখা হয়েছে বলে কাস্টমস কমিশনার বেলাল হোসেন চৌধুরী জানান। দুর্ধর্ষ চুরির রহস্য উদঘাটনে পোর্ট থানা, র‌্যাব, ডিবি, সিআইডি এবং পিবিআইসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা গত তিন ধরে বেনাপোল চষে বেড়াচ্ছে। চুরি যাওয়া সোনার মূল্য ১০ কোটি টাকা বলে কাস্টমস সূত্র জানায়। যুগ্ম কমিশনার শহীদুল ইসলাম জানান, চুরি যাওয়া সোনার অধিকাংশই বিভিন্ন চোরাচালান মামলার আলামত হিসেবে রাখা ছিল। সিসি ক্যামেরার সবকিছু দেখাশোনা করত পিয়ন টিপু সুলতান ও আজিবর রহমান। ঘটনায় আগেভাগেই সবগুলো সিসি ক্যামেরা অকেজো করে রাখা হয়। আনসার সদস্যরাও নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল। দুর্বৃত্তরা কীভাবে রাতে পর্যাপ্ত আলোর মধ্যে দোতলায় গিয়ে সোনা নিয়ে গেল তা নিয়ে তদন্ত সংস্থাগুলো বিস্ময় প্রকাশ করেছে।

ভল্টে মূল্যবান আরও বিপুল পরিমাণ সোনা, ডলার ও টাকা থাকলেও শুধু ২০ কেজি সোনা নিয়ে যায়। বাকি সোনা, ডলার, টাকা-পয়সা কেন চুরি হলো না বিষয়টি মাথায় নিয়েও এগোচ্ছে তদন্ত সংস্থা।

বেনাপোল কাস্টমস হাউসের কমিশনার মোহাম্মদ বেলাল হুসাইন চৌধুরী বলেন, গুদামের মধ্যে মূল্যবান সোনা, ডলার ও টাকা-পয়সা রাখা ছিল ভল্টে। তবে চার স্তরের নিরাপত্তাবেষ্টনী আছে। বাইরে থেকে চোর ঢুকে সোনা চুরি করা খুব কঠিন। এ চুরির সঙ্গে ভিতরের কারও যোগসূত্র থাকতে পারে বলে মনে করেন তিনি। আশা করছি, খুব তাড়াতাড়ি চোর ধরা পড়বে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর