বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা
পাঁচ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ

যুবলীগের জাকিরের বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক

বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের ঘনিষ্ঠ সহযোগী যুবলীগ ঢাকা দক্ষিণের নির্বাহী কমিটির সদস্য জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ৫ কোটি ৪৯ লাখ ৩ হাজার ৯৩৮ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গতকাল দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ তার বিরুদ্ধে মামলাটি করেন সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম। দুদকের মুখপাত্র প্রণব কুমার ভট্টাচার্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সূত্র জানায়, গণপূর্তসহ বিভিন্ন বিভাগে ঠিকাদারি করেন জাকির। তার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নাম জাকির এন্টারপ্রাইজ। কাকরাইলে বিপাশা নামে একটি রেস্টুরেন্টও আছে তার। ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর পর থেকে  রেস্টুরেন্টটি বন্ধ আছে। তবে রাতারাতি কোটিপতি বনে যাওয়া জাকির এক সময় কাকরাইলের পায়েল হোটেল ও ম্যাডোনা হোটেলে বয়ের কাজ করতেন। সে চাকরি ছেড়ে তিনি একটি চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানে পিয়নের চাকরি নেন। সেখানেই পরিচয় সম্রাটের সঙ্গে। আস্থা অর্জন করায় জাকিরকে ক্যাসিনো ব্যবসা চালানোর দায়িত্ব দেন সম্রাট। এরপর থেকে জাকিরের টাকা-পয়সা হুহু করে বাড়তে থাকে।

 তার কাছে সম্রাটের ক্যাসিনো বাণিজ্যের অনেক টাকা গচ্ছিত আছে বলেও ধারণা যুবলীগের অনেকের। দুদক সূত্রে জানা গেছে, ইতিমধ্যে জাকিরের নামে-বেনামে আরও অনেক সম্পত্তির তথ্য পেয়েছে দুদক। সেগুলোর ব্যাপারে তদন্ত করা হচ্ছে। এর মধ্যে রাজধানীর পুরানা পল্টন ও বিজয়নগরে জাকিরের রয়েছে তিনটি বাড়ি। শান্তিনগর, সেগুনবাগিচা, বিজয়নগর ও সিদ্ধেশ্বরী এলাকায় রয়েছে ২৮টি ফ্ল্যাট। গাজীপুরের কোনাবাড়িতে আছে ১০০ কাঠা জমি। কাকরাইলের ভূঁইয়া  ট্রেড সেন্টারের যে ভবনটিকে ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট তার কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করতেন ওই ভবনের চতুর্থ তলাও জাকিরের কেনা। প্রসঙ্গত, গত ২৯ অক্টোবর বিকালে ভোলা জেলা শহরের চরনোয়াবাদ এলাকা থেকে জাকির হোসেনকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। এ সময় তার কাছ  থেকে বিদেশি পিস্তল, গুলি, বিদেশি মদ ও নগদ টাকা জব্দ করা হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর