শনিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

অচল ইকোকার্ডিওগ্রাফি ও এমআরআই মেশিন

চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে এমআরআই (মেগনেটিক রিজনেন্স ইমেজিং) করাতে ব্যয় হয় তিন হাজার টাকা। কিন্তু বেসরকারি রোগ নির্ণয় কেন্দ্রে ব্যয় হয়  ৮ থেকে ১১ হাজার টাকা পর্যন্ত (রোগ ভেদে)। চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে এমন ব্যয়বহুল এবং শরীরের সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম রোগ নির্ণয়ে অতি জরুরি এমআরআই মেশিনটি গত এক মাস ধরে অচল পড়ে আছে। অন্যদিকে, জেনারেল হাসপাতালে একটি ইকোকার্ডিওগ্রাফি টেস্টে ব্যয় হয় ২০০ টাকা। কিন্তু বেসরকারি ল্যাবে খরচ হয় ১৩০০ থেকে ১৫০০ টাকা। হৃদরোগীদের এমন জরুরি রোগ নির্ণয়ের মেশিনটিও গত প্রায় ২০ দিন ধরে নষ্ট। ব্যয়বহুল এবং অতিপ্রয়োজনীয় রোগ নির্ণয়ের মেশিন দুটি নষ্ট থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে রোগীদের, ব্যয় হচ্ছে অতিরিক্ত অর্থ।

জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, প্রায় তিন কোটি টাকা মূল্যের এমআরআই মেশিনটি গত এক মাস ধরে নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। এ মেশিন দিয়ে প্রতিদিন চার থেকে পাঁচটি এমআরআই করা যেত। পক্ষান্তরে গত ২০ দিন ধরে নষ্ট থাকা ইকোকার্ডিওগ্রাফি মেশিন দিয়ে দৈনিক ৮ জন রোগীর পরীক্ষা করা যেত। অভিযোগ আছে, এটি নামে জেনারেল হাসপাতাল হলেও রোগীরা পায় না প্রয়োজনীয় সেবা। সাধারণ কোনো রোগ নিয়েও হাসপাতালের জরুরি বিভাগে গেলে চমেক হাসপাতালে রেফার করে দেওয়া হয়। কোনো অপারেশন বা সার্জারির জন্য অপেক্ষা করতে হয় মাসের পর মাস। রোগ নির্ণয়ের বিভিন্ন আধুনিক মেশিন থাকলেও এসব দীর্ঘদিন ধরেই নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। ভালো থাকলেও দায়িত্বশীলদের অবহেলার কারণে রোগীরা সেবা পায় না।  চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. অসীম কুমার নাথ বলেন, ‘এমআরআই মেশিনটির একটি অংশ নষ্ট হওয়ায় সেটি এখন কাজ করছে না। তবে এটি মেরামতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, ইকোকার্ডিওগ্রাফি মেশিনটির ফিল্ম খুব ঝাপসা আসছে। তাই এটি দিয়ে আশানুরূপ ফল দেখ যাচ্ছে না। এ ব্যাপারে আমরা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। কিন্তু ইতোমধ্যে এটির ওয়ারেন্টি চলে যায়। আর মেরামতও ব্যয়বহুল। এ ব্যাপারে আমরা স্বাস্থ্য অধিদফতরে যোগাযোগ করেছি।’                     

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর