শনিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

ঘুষ চাওয়া-নেওয়ার ভিডিও ভাইরাল

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

বরিশাল বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের সেরেস্তা সহকারী রেখা রানী দাসের ঘুষ চাওয়া-নেওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম  ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এটি কবে ধারণা করা তা স্পষ্ট না হলেও গতকাল বিকাল ৩টার দিকে ‘আকাশ বাংলা’ নামের ওয়েব সাইটে শেয়ার করা ৬ মিনিট ২৪ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে নানা মন্তব্য করেছেন অনেকে।

ঝালকাঠীর নলছিটির বাসিন্দা মনির হোসেন জানান, সম্প্রতি তিনি জামিন আদেশের নকল কপির জন্য নিয়মানুযায়ী কোর্ট ফিসহ আবেদন করেন। গত সপ্তাহে তিনি সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালে জামিন আদেশের কপি পাওয়ার জন্য যোগাযোগ করলে সেরেস্তা সহকারী রেখা রানী দাস তার কাছে এক হাজার টাকা দাবি করেন। ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে রেখা তাকে বলেন ‘সার্চিং দেবেন টাকা দেবেন, নকল নেবেন টাকা দেবেন’। ওই ব্যক্তি প্রশ্ন করেন, ‘টাকা নেওয়ার কোনো রিসিট দেবেন।

রেখা বলেন, ‘জজকোর্টে কোনো মানি রিসিট হয় না।’  ভিডিওতে দেখা যায়, এ নিয়ে দুজনের বাধানুবাদ চলাকালীন আরেক আইনজীবীর সহকারী (মহুরী) তার মামলার নকলের জন্য রেখা রানীকে ১০০ টাকার তিনটি নোট দেন। তখন রেখা বলেন, ‘প্রশাসনিক কর্মকর্তার ২০০, কর্তার ১০০, হ্যারপর পিওন-টিওন রইছে না।’ এর পর ওই মহুরী আরও ১০০ টাকা দিয়ে যান রেখাকে। তখন ওই ব্যক্তি বলেন, আপনি (রেখা) ওনার কাছ থেকে কিসের টাকা নিলেন। কিন্তু রেখা কোনো জবাব দেয়নি। ওই ব্যক্তি কেন টাকা জানতে চাইলে মহুরী বলেন, আমি একটা নকলের জন্য ৪০০ টাকা দিলাম।

 জানতে চাইলে রেখা রানী দাস সাংবাদিকদের বলেন, ‘নকলের জমা খরচ আছে।  কত পাতা, কত ফলি, কয় টাকার কোর্ট ফি, সব কিছুর সিল আছে। ফটোকপি করতে টাকা লাগে। ওই টাকা চাওয়া হয়েছে। ভিডিওতে আরেক মহুরীর কাছ থেকে টাকা নেওয়ার সত্যতাও স্বীকার করেন তিনি। ঘটনাটি গত সপ্তাহের বলে রেখা স্বীকার করেছেন। বরিশাল জেলা জজ আদালত আদালতের আইন কর্মকর্তা অ্যাডভোকেট একেএম জাহাঙ্গীর বলেন, সব সেরেস্তায় এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। এটা প্রকাশ্যে আসছে, অন্যটা আসে না। পয়সা ছাড়া কোনো সেরেস্তায় কাজ হয় না। এ থেকে মুক্তি চাই।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর